যুক্তরাজ্যে চলতি বছরের গ্রীষ্ম উপভোগ করতে হলিডের জন্য প্লান করে ফেলেছেন স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের অভিভাবকরা। তবে হলিডের এই পরিকল্পনায় যদি সন্তানদের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়। তবে অভিভাবকদের কমপক্ষে গুনতে হবে ১২০ পাউন্ড জরিমানা।
সরকারের শিক্ষা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা যদি কোন নির্দিষ্ট কারন ছাড়া তাদের সন্তানদের স্কুল বন্ধ দেয় তাহলে তাদের জরিমানা দিতে হবে।
নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, কোন শিক্ষার্থী যদি পাঁচদিন অনুপস্থিত থাকে, টার্ম টাইমের সময় হলিডে কাটাতে যায় তাহলে একটি নির্দিষ্ট জরিমানা করা হবে। আর এই অনিয়মের জন্য পিতামাতাকে একটি সন্তানের জন্য সর্বোচ্চ দুইটি জরিমানা করা হবে। আর এই জরিমানা বা শাস্তি কি হবে তা তাদের অনুপস্থিতির হার ও কারনের উপর নির্ভর করে পরিবর্তনও হতে পারে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী, এই জরিমানা কাউন্সিল থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা অভিভাবকদের পরিশোধ করতে হয়। এছাড়া আগে অনেক পোস্ট কোডের স্কুলে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির কারনে জরিমানা গুনতে হতো না। তবে বর্তমান নিয়মে এর সমাপ্ত হবে বলে মনে করছে শিক্ষা বিভাগ।
এছাড়া এডুকেশন সেক্রেটারী জানিয়েছেন, তারা কাউন্সিল গুলোতে একটি সেন্টাল ডাটা নথিভূক্ত করেছেন। যেখানে স্কুল গুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ও অনুপস্থিতির সকল তথ্য থাকবে। আর এই তথ্যের মাধ্যমে জানা যাবে কোন কাউন্সিলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম।
এডুকেশন বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, নতুন নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের অসুস্থতা জানিত কারনে স্কুলে না আসার কারন দর্শানোর নিয়মেও কড়াকড়ি আনা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী যারা নিয়মিত স্কুলে আসতে পারেন না অসুস্থতা জনিত কারনে তাদের নাম বর্তমানে রেজস্ট্রারে নথিভূক্ত না থাকলেও তাদের জন্য আলাদা রেজিস্টার খোলা হবে এবং তথ্য আপডেট করা হবে।
বিষয়টি নিয়ে এডুকেশন সেক্রেটারি নাদিম যাওয়াই জানান, প্রতিটি শিশুকে স্কুলে ফিরিয়ে আনতেই তারা এই আইন করতে চলেছে। অন্যদিকে বর্তমানে ব্রিটেনে যে সব স্কুল রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি তা দ্রুত রেজিস্ট্রেশন করে নতুন করে ৬ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে লেবার নেতারা।
স্কুল গুলোর উপস্থিতি নীতি অনুযায়ী নতুন নিয়মে, বিশেষ শিশুরা যারা নিয়মিত শারীরিক কারনে স্কুল উপস্থিত থাকতে পারে না তাদের ক্ষেত্রেও ক্লাসে উপস্থিতির বিষয়টি রেজিস্টারে রেকর্ড কারতে হবে।
এছাড়া কাউন্সিল গুলোর পক্ষ থেকে, যেসব শিক্ষার্থী বিভিন্ন সমস্যার কারনে ক্লাসে উপস্থিত হতে পারছে না, তার কারন চিহ্নিত করে তার সমাধান করতে হবে নতুন আইন অনুযায়ী। একই সাথে যেসব শিক্ষার্থী হোম স্কুলিং করছে তাদের ক্ষেত্রে আরও সহায়তা বাড়ানো হবে বলে নতুন আইনে থাকছে বলে জানিয়েছে শিক্ষা বিভাগ।
নতুন আইন সম্পর্কে শিক্ষা বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশটিতে স্কুলে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি হার ৯০ শতাংশ বাড়াতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বৃষ্টিহীন গ্রীস্মকাল যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে। গত দুই বছরের প্যান্ডামিকের কারনে অনেকে যাবো যাবো বলেও ছুটি কাটাতে যাননি কোথাও। তাই এ বছর এই গ্রীষ্মটি নষ্ট করতে চাচ্ছেন না অনেকে।
Leave a Reply