পার্লামেন্টারি উপনির্বাচনে কনজার্ভেটিভ পার্টি দুইটি আসন হারিয়েছে। উল্লিখিত দুই আসন জিতে নিয়েছে অন্য দল। সংকটে থাকা প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতৃত্ব নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠেছে। এ খবর দিয়েছে আল-জাজিরা।
অনাস্থা ভোটে পার্লামেন্ট সদস্যদের ৪১ শতাংশ তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য ভোট দিয়েছিলেন। তারপরই তার কনজার্ভেটিভ পার্টি বৃহস্পতিবারের উপনির্বাচনে পশ্চিম ইয়র্কশায়ারের ওয়েকফিল্ড ও দক্ষিণ পশ্চিমের টিভারটন ও হোনিটনের আসন হারিয়েছে।
রক্ষণশীলরা ইংল্যান্ডের দক্ষিণ পশ্চিমের গভীরভাবে রক্ষণশীল অংশে টিভারটন এবং হোনিটনে ২৪,০০০-এর বেশি ভোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, মধ্যপন্থী লিবারেল ডেমোক্র্যাটদের কাছে পরাজিত হয়েছে যারা ৬,০০০-এর বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। এদিকে, প্রধান বিরোধী লেবার পার্টি উত্তর ইংল্যান্ডের ওয়েকফিল্ড পুনরুদ্ধার করেছে।
উপনির্বাচনে হেরে যাওয়ার বিষয়টি ইঙ্গিত করে, জনসন ২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনে যে নির্বাচনি জোট গঠন করেছিলেন, সে জোট ভেঙ্গে যেতে পারে। কারণ জনসনকে এখন আর কেউ নির্বাচনের জন্য সম্পদ মনে করছেন না।
বরিস জনসনের উপর পদত্যাগের চাপ বাড়তে শুরু করে কোভিড-১৯-এর আইন ভঙ্গ করায় জরিমানা দেয়ার পর থেকেই। মাত্র ক’দিন আগে তিনি অনাস্থা ভোটে কোনোভাবে উৎরে গেছেন বরিস জনসন।
ইতোমধ্যে কনজার্ভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান ওলিভার ডাউডেন পদত্যাগ করে বলেছেন, দলের মধ্যে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।
Leave a Reply