ব্রিটেনের রাজনীতিতে অস্থিরতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন। তবে নতুন নেতা না আসা পর্যন্ত তিনি কাজ করবেন।
বরিস জনসন বলেছেন, এখন স্পষ্টতই সংসদীয় কনজারভেটিভ পার্টির ইচ্ছা যে পার্টির একজন নতুন নেতা হওয়া উচিত এবং তাই একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত। জনসন বলেছেন, নতুন নেতা নির্বাচনের প্রক্রিয়া এখনই শুরু হওয়া উচিত এবং আগামী সপ্তাহে সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
বরিসের পদত্যাগের পরই আবার আলোচনায় ব্রিটেনের ভবিষৎ প্রধানমন্ত্রী কে হতে পারে। এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক ফরেন সেক্রেটারি জেরিমি হান্ট, সাবেক স্বাস্থ্য সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ, পেনি মডার্ন্ট ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রতিরক্ষা সেক্রেটারী, সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেনহ্যান্ট, ফরেন সেক্রেটারী লিজ ট্রুস, নতুন চ্যাঞ্ছেলর নাদিম যাওয়াই।
তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন সব থেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে সাজিদ জাভিদ, ঋষি সুনাক ও জেরিমি হান্ট। এদিকে বরিস জনসন আজ টরি পার্টি লিডার থেকে পদত্যাগ করলেও নিয়ম অনুযায়ী আগামী অক্টোবর পর্যন্ত তাকে পর্যন্ত তাকে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বরিস জনসনের এই পদত্যাগের পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রিটেনের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে কিনা কিংবা বেক্সিট বিষয়ে নতুন কোন নিয়ম চালু হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্নের তৈরি হয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা বলছেন বিরসের থেকেও খারাপ নেতা আসবে ব্রিটেনে।
ব্রিটেনের রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের এই পদত্যাগের পাচটি গুরুত্বপূর্ণ কারন রয়েছে। যার মধ্যে বরিসের সাথে চেরিস ফিনচারের সম্পর্ক। আর এ কারনে এই এমপি ভুল করলেও তা আমলে নেয়নি বরিস জনসন। এছাড়া বরিস কোভিড কালীন সময় একাধিক পার্টি করেছে যা নিয়ম বর্হিভূত।
কোভিড থেকে বের হয়ে যখন মানুষ সাধারন জীবন যাপনে যাবে তখন দেশটির দ্রব্য মূল্যের লাগামহীণ দাম বৃদ্ধিতে বরিসের উপর সাধারন মানুষের ক্ষোভ । নিয়ম না মেনে নানান সুযোগ সুবিধা নেওয়া একই সাথে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কথা সেই সব বিষয়ে গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হয়েছে বরিস জনসন। আর এই সব কারনে দলের শীর্ষ নেতাদের সাথে বরিসের প্রতিনিয়ত মত বিরোধের তৈরি ও তাদের পদত্যাগই বরিসকে তার দায়িত্ব থেকে সড়ে যেতে হলো।
Leave a Reply