বরিস জনসন পদত্যাগের ঘোষণা দেয়ার পরই একটি আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। ব্রিটেনে নতুন প্রধানমন্ত্রী হবেন কোন দেশের?
শুধু তাই নয়, সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম আলোচিত হচ্ছে। আবার দু’চারজন প্রার্থীতার জানানও দিয়েছেন। তার মধ্যে আছেন ব্রিটিশ, ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। ফলে যদি এবার কনজার্ভেটিভ পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী ভারত বা পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কোনো রাজনীতিক নির্বাচিত হন তাহলে তা হবে নতুন এক ইতিহাস।
এখন পর্যন্ত নিজেদের তরফ থেকে প্রার্থিতা জানান দিয়েছেন তিনজন। তারা হলেন এটর্নি জেনারেল সুয়েলা ব্রেভারম্যান, ব্রেক্সিটিয়ার স্টিভ বেকার এবং সর্বশেষ এমপি টম টুগেনধাত। আলোচনায় আছেন যারা তার মধ্যে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস, সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল, মাইকেল গভ, পেনি মরডন্ট অন্যতম।
এর মধ্যে প্রীতি প্যাটেল, ঋষি সুনাক এবং সুয়েলা ব্রেভারম্যান ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অন্যদিকে সাজিদ জাভিদ হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। এসব প্রার্থীর ওপরে ৬ ও ৭ই জুলাই দলের ভিতর জনমত জরিপ চালিয়েছে ইউগভ।
তাতে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন পেয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস। তাকে সমর্থন করেছেন শতকরা ১৩ ভাগ কনজার্ভেটিভ দলের সদস্য। এর পরে আছেন পেনি মরডন্ট। তাকে সমর্থন করেছেন শতকরা ১২ ভাগ। ঋষি সুনাককে সমর্থন করেছেন শতকরা ১০ ভাগ।
একই দৌড়ে লিজ ট্রাসকে সমর্থন করেছেন শতকরা ৮ ভাগ। মাইকেল গভ’কে সমর্থন করেছেন শতকরা ৭ ভাগ। ডমিনিক রাব পেয়েছেন শতকরা ৭ ভাগ সমর্থন। টম টুগেনধাত পেয়েছেন শতকরা ৬ ভাগ সমর্থন। জেরেমি হান্টকে সমর্থন করেন শতকরা ৫ ভাগ। নাদিম জাহাবিকে সমর্থন করেন শতকরা ৫ ভাগ। সাজিদ জাভিদকে সমর্থন করেন শতকরা ৪ ভাগ। প্রীতি প্যাটেল পেয়েছেন শতকরা ৩ ভাগ সমর্থন। স্টিভ বারক্লে পেয়েছেন শতকরা ১ ভাগ সমর্থন।
তীব্র দলীয় বিরোধ, মন্ত্রীপরিষদের সহকর্মী ও সহযোগীদের বিরোধের মুখে বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন তিনি। এর আগে দু’দিন ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য তীব্র লড়াই চালান জনসন। কিন্তু কনজার্ভেটিভ দলের সিনিয়র ও জুনিয়র পর্যায়ের প্রায় ৬০ জন এমপি এরই মধ্যে পদত্যাগ করেছেন। এতে প্রচণ্ড চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন বরিস জনসন।
প্রসঙ্গত, আগামী শরতে নতুন উত্তরসূরি নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার পরিকল্পনা জানিয়েছেন বরিস জনসন। তবে বেশির ভাগ সহকর্মী এবং বিরোধী দলীয় রাজনীতিকরা চাইছেন তিনি যেন এখনই বিদায় নেন। কিন্তু এরই মধ্যে তিনি ক্যাবিনেটের কাজ শুরু করেছেন।
Leave a Reply