সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় ব্রিটেন যখন উত্তপ্ত। সেই সাথে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার দৌড় রাজনৈতিক উত্তেজনা আরো যেন উত্তাপ ছড়িয়েছে দেশটিতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
দেশটির ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন নিয়ে চলছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। এদিকে, উত্তপ্ত ব্রিটেনে তীব্র গরমের কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনেক স্কুল। দাবদাহে পুড়ে গেছে বেশ কয়েকটি স্থান। অন্যদিকে কনজারভেটিভ পার্টির প্রতিযোগিতায় একে একে ঝরে গেছেন প্রায় ৭ জন প্রার্থী।
বিবিসি বলেছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত এই দৌড়ে টিকে ছিলেন ৩ জন। বুধবার নতুন করে দলীয় এমপিরা আবার ভোট দেন। তাদের উদ্দেশ্য এই তিনজনের মধ্য থেকে দু’জন প্রার্থীকে বের করা। এতে সবচেয়ে কম ভোট পান পেনি মরডেন্ট। ফলে তিনি বাদ পড়েছেন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের দৌড় থেকে।
এরই মধ্যে পরাজয় স্বীকার করেছেন তিনি। গতকালের ভোটে ঋষি সুনাক পেয়েছেন ১৩৭ ভোট, লিজ ট্রাস পেয়েছেন ১১৩ ভোট এবং পেনি মরডেন্ট পেয়েছেন ১০৫ ভোট। সেপ্টেম্বরে কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা ঋষি সুনাক বা লিজ ট্রাসকে ভোট দিয়ে দলীয় প্রধান নির্বাচন করবেন।
এক্ষেত্রে ফ্রন্টরানার বা সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। দলীয় প্রধান নির্বাচনের এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার শুরু থেকেই তিনি হট ফেভারিট। তার সঙ্গে লিজ ট্রাসের ফাইনাল লড়াই হবে। মঙ্গলবারের ভোটে ঋষি সুনাক পেয়েছেন ১১৮ ভোট। পেনি মরডেন্ট আগের চেয়ে ১০ ভোট বেশি পেয়ে তার মোট ভোট সংখ্যা ৯২। লিজ ট্রাসের ভোট বেড়েছে ১৫টি। এতে তার মোট ভোট ৮৬।
অন্যদিকে কেমি ব্যাডোনোচ পেয়েছেন ৫৯ ভোট। এই ভোট পেয়ে তার ভোট সবচেয়ে কম। ফলে তিনি এই দৌড় থেকে বাদ পড়েছেন। বুধবার দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পেনি মরডেন্ট এবং লিজ ট্রাসের মধ্যে চলছিল তীব্র প্রতিযোগিতা। ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের স্বপ্নকে জিইয়ে রাখতে হলে দৃশ্যত তাদের একজনকে কমপক্ষে দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রাখতে হবে।
কেমি ব্যাডোনোচকে যেসব এমপি সমর্থন করেছিলেন, তাদের ভোটকে পুঁজি করার চেষ্টা করছিলেন পেনি মরডেন্ট এবং লিজ ট্রাস। কেমি ব্যাডোনোচকে সমর্থনকারী এমপি’র মধ্যে বেন ব্রাডলি অন্যতম। তিনি মনে করেন কেমি ব্যাডোনোচের ভোটাররা যেকোনো দিকে টার্ন নিতে পারেন।
তাদেরকে টার্গেট করে টেলিগ্রাফে লিজ ট্রাস লিখেছেন, তিনিই একজন ব্যক্তি, যিনি পরিবর্তন আনতে পারেন কনজারভেটিভ পার্টির সত্যিকার মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে। অন্যদিকে ঋষি সুনাকের প্রচারণা থেকে বলা হয়েছে, তিনি এমন একজন প্রার্থী, যিনি বিরোধী দল লেবারকে পরাজিত করতে পারবেন।
দলীয় প্রধানই হবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে মঙ্গলবার পর্যন্ত টিকে ছিলেন চার প্রার্থী। সেখান থেকে মাইনাস হয়ে যান কেমি ব্যাডেনোচ। বুধবারের ভোটে বিজয়ী দুই প্রার্থীর ওপর সেপ্টেম্বরে ভোট দেবেন কনজারভেটিভ দলের সদস্যরা। তাতে বিজয়ীই হবেন কনজারভেটিভ দলের নেতা ও ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply