ইংল্যান্ডের একটি কারাগারে আত্মহত্যা করতে পারে এমন সন্দেহে বেশ কিছু কারাবন্দিকে পর্যবেক্ষনে রাখা হয়েছিলো। গত ১০ বছর ধরে কারাগারে থাকা পর্যবেক্ষণে থাক শর্তেও তাদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ আত্মহত্যা করেছে। এ খবর দিয়েছে গার্ডিয়ান।
২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বিচার বা সাজা ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা ২৬৫ জন বন্দি আত্মহত্যা করেছেন। যাদের মধ্যে ১৭৪ জনকে এসিসিটিতে রাখা হয়েছিল। আত্মহত্যা বা আত্মক্ষতির ঝুঁকিতে থাকা বন্দিদের জন্য এই প্রকল্প। কারা ব্যবস্থায় রিমান্ড বন্দিদের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। সেপ্টেম্বর ২০২০ থেকে ২০২১ এর মধ্যে ৮১ জন বন্দির মধ্যে ৪২ শতাংশ আত্মহত্যা করেছিল ।
বিচার মন্ত্রনালয়ের এফওআই আরও দেখিয়েছে, ২০২১ সালে ৩২ জন বন্দির মধ্যে ২৩ জন যারা আত্মহনন করেছে তাদের মৃত্যুর সময় বা রিমান্ডে থাকাকালীন কোনো না কোনো সময়ে এসিসিটিতে ছিল। ২০১৫ সালে রিমান্ড বন্দিদের আত্মহত্যার সর্বোচ্চ সংখ্যা রেকর্ড করা হয়েছিল। সেই বছরে ৩৬ জন মারা গিয়েছিল যার মধ্যে ২৪ জনই এসিসিটি এর অধীনে ছিলেন।
এই বন্দিদের বেশির ভাগেরই আদালতে বিচার হয়নি। বাকিদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল কিন্তু এখনও সাজা হয়নি। ২০২১ সালে ৬৪ শতাংশ বন্দি বিচারের অপেক্ষায় ছিল। বাকি ৩৬ শতাংশ সাজার অপেক্ষায় ছিল। ২০২১ সালে রিমান্ডে থাকা অর্ধেকেরও বেশি প্রায় ৫৬ শতাংশ অহিংস অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিল।
Leave a Reply