শীতের হিমেল হাওয়ায় উষ্ণতা ছড়িয়ে, কুয়াশা চাদর সরিয়ে নতুন বছরের আলো আজ ছড়িয়ে পড়েছে দিগন্তে। অন্য যে কোনো দিনের তুলনায় আজকের এই দিনের আলো মনে-প্রাণে আশা জাগায়। দেখায় নতুন স্বপ্ন। শত বাধা ডিঙিয়ে শুভ, সুন্দর জীবনের সন্ধানে জোগায় সাহস।
আজ ২০২৩ সালের প্রথম দিন। সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আর সবার মতো আমরাও ‘শীর্ষবিন্দু পরিবার‘ আমাদের অগণিত পাঠককে জানাই ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। খ্রিষ্টীয় নতুন বছরটি সবার জীবন থেকে কষ্ট দূর করে দিয়ে আনন্দে, শান্তিতে ভরে উঠুক—এই প্রত্যাশা।
আজ নতুন বছরের প্রথম দিনটিতে দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ। নতুন বছরটি যেন সমাজজীবন থেকে, প্রতিটি মানুষের মন থেকে সব গ্লানি, অনিশ্চয়তা, হিংসা, লোভ ও পাপ দূর করে। রাজনৈতিক হানাহানি থেমে গিয়ে এই সুন্দর পৃথিবী যেন সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
নতুন বছর সবার মধ্যে জাগিয়ে তোলে আশা, সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। স্বভাবতই নতুন বছর নিয়ে এবারও মানুষের প্রত্যাশা একটি মুক্ত স্বাধীন শান্তিময় বিশ্ব।
অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা, শোষণ-দারিদ্র্যমুক্ত রাষ্ট্র গঠন, ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির ধাক্কা সামলে দেশের উন্নয়নের গতি ঠিক রাখা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি কমিয়ে এনে মানুষের জীবনের চাপ কমিয়ে জীবনের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হচ্ছে মূল চ্যালেঞ্জ।
পাশাপাশি গণতান্ত্রিক, মানবিক, জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্র গঠনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন বছরে দেশের উত্তরণ ঘটবে, রাজনৈতিক উত্তেজনা কমিয়ে দেশ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে—এটাই নতুন ইংরেজি বছরে সবার প্রত্যাশা।
গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব খুঁজতে খুঁজতে নতুন বছর সামনে রেখে আবর্তিত হবে নতুন নতুন স্বপ্ন। ইংরেজি নববর্ষ পালনের ধরন বাংলা নববর্ষ পালনের মতো ব্যাপক না হলেও এই উৎসবের আন্তর্জাতিকতার ছোঁয়া থেকে মানুষও বিচ্ছিন্ন নয়।
করোনা মহামারি কাটিয়ে ২০২২ সাল ছিল পুরো পৃথিবী জন্য ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো, শিক্ষাব্যবস্থার স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা মানুষের জীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।
ইংরেজি বর্ষপঞ্জি: যিশু খ্রিষ্টের জন্ম তারিখ থেকে যে সাল গণনা শুরু হয়েছিল, তা-ই আজ বিশ্ব জুড়ে ইংরেজি বর্ষ হিসেবে পরিচিত। তবে ১৫৮২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পোপ ত্রয়োদশ গ্রেগোরির আদেশে এই বর্ষপঞ্জির প্রচলন হয়। সে জন্য একে গ্রেগরিয়ান বর্ষপঞ্জিও বলা হয়।
Leave a Reply