ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় শিল্প বিরোধের অবসান ঘটাতে পাবলিক সেক্টরের ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে তিনি নার্সদের বেতন বাড়ানো নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক। আল-জাজিরা
যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) দীর্ঘ সময় থেকেই জনগণের অর্থে পরিচালিত হয় এবং সকলকে বিনা অর্থে সেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বছরের পর বছর তুলনামূলকভাবে বিনিয়োগ কমে যাওয়ায় এবং কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আরো কমে যাওয়ায় স্বাস্থ্যসেবা খাত বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে।
নার্স এবং অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা ধর্মঘটে থাকায় হাসপাতালগুলোতে স্টাফ ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শীতকালে ফ্লু ছড়িয়ে পড়ায় হাসপাতালগুলোতে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স পাওয়ার জন্য রোগীদের ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে থাকতে হচ্ছে। কাউকে কাউকে হাসপাতালের করিডোরে বসিয়েই চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।
নার্স তথা স্বাস্থ্যসেবা দানকারীদের বেতন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক নিজের কনসার্ভেটিভ পার্টির মধ্যেই চাপের মুখে আছেন। এরমধ্যেই বলা হয়েছে সরকার বেতনের বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ইচ্ছুক। এর আগে মন্ত্রিরা বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনো আলোচনা হবে না।
সুনাক রোববার বিবিসিকে বলেছেন, ‘বেতন নিয়ে আমরা যৌক্তিক, সৎ এবং দু’ভাবে আলোচনা করতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘নার্সরা যা বলতে চায়, তা নিয়ে আলোচনা করার দুয়ার সব সময়ই খোলা। কিন্তু ইউনিয়নগুলো সামগ্রিকভাবে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চায়।’
রয়াল কলেজ অব নার্সিং ইউনিয়নের প্রধান প্যাট কালেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসাতে তিনি আশার আলো দেখছেন।
প্রধান বিরোধী লেবার পার্টি এবং অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের প্রতিনিধিত্বশীল ইউনাইটেড ইউনিয়ন বেতন নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব নিয়ে বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দেওয়ার জন্য সুনাককে অভিযুক্ত করেছে।
লেবার পার্টি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নার্স ও অ্যাম্বুলেন্স কর্মীদের বোকা বানাতে চায়। কারণ সরকার স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছে, তারা কেবল আগামী বছর বেতন বাড়ানোর বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করতে চায়।
ইউনিয়ন থেকে বলা হয়েছে, তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেবে যদি বেতন নিয়ে ঝামেলার কাজটি সমাধানের মধ্য দিয়ে এ বছর থেকেই কার্যকর হয়।
Leave a Reply