আমবয়ানের মধ্য দিয়ে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে আজ শুক্রবার ফজরের নামাজের পর আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা।
সারা মুসলিম জাহানের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় মহাসম্মেলনে বিশ্ব ইজতেমা। এরই মধ্যে টঙ্গীর তুরাগ তীরে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। ময়দান প্রায় পূর্ণ হয়ে গেছে। রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম পর্ব।
এরপর ৪ দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ২২ জানুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার উভয় পর্ব।
বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, ইজতেমা ইসলামের সুমহান আদর্শ জানা, বুঝা ও আমলের পথ সুগম করবে। বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইজতেমা পারস্পরিক ঐক্য, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্যের এক অপূর্ব মিলনক্ষেত্র।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ইজতেমামুখী হয়েছেন অনেকে। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে। বিশেষ করে বিমানবন্দর-উত্তরা হয়ে গাজীপুরগামী সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
ইজতেমার প্রভাব এবং গাজীপুর সড়কের একটি লেন বন্ধ থাকার কারণে শুধু উত্তরা-টঙ্গী সড়ক নয়, রাজধানীর মহাখালী, বনানী, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, মতিঝিল, মিরপুরের একাংশ ও তেজগাঁও এলাকার সড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ দেখা গেছে। চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয় ট্রাফিক পুলিশকে।
এবার ইজতেমার মাঠকে ৯১টি খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা তাদের নিজ নিজ জেলার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। ১৬০ একর খোলা ময়দানে বাঁশের খুঁটির ওপর পাটের চট দিয়ে টানানো হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। তবে বিদেশি মেহমানদের জন্য টিন দিয়ে করা হয়েছে আবাসস্থল। ইজতেমাকে কেন্দ্র করে নিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মরুব্বি প্রকৌশলী আব্দুন নূর বলেন, পুরো ময়দান এরই মধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে। শুক্রবার থেকে মূল পর্ব শুরু হলেও বৃহস্পতিবার বাদ ফজর থেকে শুরু হয় আ’ম বয়ান। প্রায় দুই মাস ধরে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তাবলিগ জামাতের অনুসারীরা মাঠের প্রস্তুতির কাজ শেষ করেন।
Leave a Reply