প্রিন্স হ্যারির স্মৃতিকথামূলক বইটি প্রথম দিনেই ১৪ লাখ ৩০ হাজার কপি বিক্রি হয়। অথচ ওই দিন মন্টেসিটোর বুকস্টোরে একটি কপিও বিক্রি হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ওই এলাকায় রাজপ্রাসাদ ছেড়ে স্থায়ী হয়েছেন প্রিন্স হ্যারি ও তার স্ত্রী মেগান মার্কেল।
বিষয়টা এমন নয় যে, প্রতিবেশীরা ডিউক অব সাসেক্সের কেচ্ছা শুনতে অনাগ্রহী। সবচেয়ে বড় কারণ ছিল আবহাওয়া। মন্টেসিটোর অনেকটা জুড়ে পাহাড়ি অঞ্চল। আগের কয়েকদিন ধরেই অঞ্চলটিতে ভয়াবহ রূপ নিয়েছিল ঝড় ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট পানির প্রবাহ।
ভূমিধসের আশঙ্কায় নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়। পাঁচ বছর আগে ভূমিধসে সেখানেই ২৩ জন মারা যায়। স্বাভাবিকভাবেই স্থানীয় মানুষের মনে অস্তিত্বচিন্তা বড় হয়ে দেখা দিয়েছিল। এক সপ্তাহ পর থামে বৃষ্টি, কমে যায় ভূমিধসের ঝুঁকি।
মন্টেসিটো বুকশপের মালিক ম্যারি শেলডনের দাবি অনুযায়ী, ১০ হাজারের বেশি শিক্ষিত বাসিন্দার ওই এলাকায় বিক্রি হয়েছে মাত্র ৩০ কপি। এ তথ্য অবাক করারই বটে। প্রিন্স হ্যারির বই নিয়ে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে।
বর্ণনায় অকপট হওয়ার কারণে অনেকেই প্রশংসা করছেন। সমালোচনাও করেছেন কেউ কেউ। রাজকীয় অভিধানে বংশের যে সন্তান পরবর্তীতে সিংহাসনে বসার জন্য নির্বাচিত হন, তাকে ডাকা হয় ‘ক্রাউন প্রিন্স’। বাকিদের বলা হয় ‘স্পেয়ার’।
বর্তমান সম্রাট তৃতীয় চার্লসের পর দায়িত্ব নেবেন প্রিন্স উইলিয়াম। সে হিসেবে তার ছোট ভাই প্রিন্স হ্যারি ‘স্পেয়ার’। আর রাজকীয় প্রাসাদ ত্যাগ করা হ্যারির অবস্থানের ছাপ বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠাতে স্পষ্ট। কোনো রাখঢাক ছাড়াই দীর্ঘদিনের টানাপড়েন তুলে এনেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গিনেজ বুকে দ্রুততম বিক্রিত নন-ফিকশনের রেকর্ড গড়েছে ‘স্পেয়ার’। তবে এখনো প্রাথমিক ধাক্কা কাটাতে পারেনি ‘স্পেয়ার’। আশানুরূপ বিক্রি দেখা যাচ্ছে না।
Leave a Reply