যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস মাত্র ৪৯ দিনের জন্য ক্ষমতার মসনদে ছিলেন। ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন সবচেয়ে স্বল্প মেয়াদী সরকার প্রধান হিসেবে। সংসদে কর সংক্রান্ত একটি বিল পাসকে কেন্দ্র করে তাকে ক্ষমতা ছাড়তে হয় তাকে।
রোববার ‘দি টেলিগ্রাফ’ সংবাদ মাধ্যমে ৪০০০ শব্দের এক প্রবন্ধে লিজ ট্রাস তার খোলামালা মন্তব্য আর আক্ষেপের কথা তুলে ধরে। ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর এই প্রথম জনপ্রকাশ্যে তিনি তার অভিব্যাক্তি তুলে ধরলেন।
যদিও তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেননি তার স্বল্প বাজেট ইস্যুতে। ট্রাস ও চ্যান্সেলর কোয়াসি কোয়ার্তেং প্রস্তাবিত ৪৫ বিলিয়ন পাউন্ডের বাজেটকে ঘিরে তাকে জোরপূর্বক প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সরানো হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এমনকি তাকে অনেকটাই বাধ্য করা হয়েছিল অনুদানবিহীন কর বাজেট বিষয়ে জনমনে ভীতি ছড়ানোর মধ্যদিয়ে। তাকে বন্ড মার্কেটের ঝুঁকি বিষয়েও জানানো হয়নি।
ট্রাসের দাবি, নিজ দলের পক্ষ হতে ভবিষ্যত অর্থনৈতিক উন্নতির লক্ষ্য পূরণে তার ভাবনাগুলোকে বাধা দেওয়া হয়েছে। কোয়ারতেং ৪৫ শতাংশ কর আরোপের বিষয়ে তাকে বাধাগ্রস্ত করেছের বলেও দাবি করেন তার লেখায়।
তিনি আরও মন্তব্য করে বলেন, আগামীতে সেই সময় আসছে যেখানে কিনা ঋষি সুনাক হয়ত কর ছাঁটাইয়ের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচলনা করবেন।
বর্তমানে নর্ফোকের সাংসদ হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী লিজ ট্রাস আশা জাগিয়ে বলেন, আমার পুরো প্যাকেজ বাস্তবায়নে কোনো রকমের সহোযোগিতা করেনি নিজ দলের সমর্থকেরা। তবে আমি আশাবাদী যুক্তরাজ্য ভবিষ্যতে আবারো তার সঠিক অর্থনীতির হাল ধরতে সক্ষম হবে।
দেশটির ডেপুটি গভর্নর টাইমসকে বলেন, কর ছাঁটাই প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। এদিকে, ট্রাস নিজেকে সরকারের বলির পাঠা হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি তার এই লেখায় তার সময়ে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি উত্থাপন করেন।
Leave a Reply