প্রথম মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার হামজা ইউসুফ সরকারি বাসভবন বিউট হাউজে উঠে প্রথম রাতেই নামাজ আদায় করেছেন।
স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নির্বাচিত হয়ে শপথ নেন তিনি। তারপর মঙ্গলবার বিউট হাউজে ওঠেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন পরিবারের সদস্যরা। একই সঙ্গে তিনি স্কটল্যান্ডের ইতিহাসে দুটি নতুন রেকর্ড গড়েছেন।
তার একটি হলো দেশটিতে প্রথম কোনো মুসলিম ফার্স্ট মিনিস্টার তিনি। দ্বিতীয়ত তিনি সবচেয়ে কম বয়সী ফার্স্ট মিনিস্টার। সোমবারের নির্বাচনে তিনি এই পর্দে নির্বাচিত হন। পার্লামেন্টে বিজয়ের পর তিনি পরিবার নিয়ে ওঠেন ওই সরকারি বাড়িতে।
এ সময় ৩৭ বছর বয়সী হামজা ইউসুফ পরিবারের সঙ্গে বিশেষ মুহূর্ত শেয়ার করেছেন টুইটার একাউন্টে। পরিবারের সঙ্গে একাধিক ছবি পোস্ট করেছেন।
তাতে দেখা যায় বিউট হাউজে তিনি নামাজ আদায় করছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পিতা মুজাফ্ফর ইউসুফ, মা শায়েস্তা ভুট্ট, স্ত্রী নাদিয়া এবং দুই মেয়ে। হামজা বলেছেন, পবিত্র রমজানে ইফতারের পর নামাজ আদায় করা তার পরিবারের পুরুষ সদস্যদের একটি ধর্মীয় রীতি।
হামজা লিখেছেন, পার্লামেন্টারি ভোটের পর বিউজ হাউজে প্রথম রাত অতিবাহিত করছি আমি ও আমার পরিবার। সবাই মিলে ইফতার করে রীতি অনুযায়ী বিউজ হাউজে পরিবারের সদস্যরা নামাজ আদায় করলাম। এটা এক বিশেষ মুহূর্ত।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত হামজা ইউসুফ সোমবারের ভোটে স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির (এসএনপি) নেতা নির্বাচিত হন। তিনি পান শতকরা ৫২ ভাগ ভোট। হামজা একজন মুসলিম। তিনি ধর্মচর্চা করেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি হলেন স্কটল্যান্ডের প্রথম ফার্স্ট মুসলিম মিনিস্টার।
একই সঙ্গে ব্রিটেনের কোনো একটি বড় দলের প্রথম মুসলিম হলেন তিনি। তিনি সাবেক ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেনের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন। আধা স্বায়ত্তশাসিত সরকারের প্রধান হিসেবে তিনি স্কটল্যান্ডের নেতৃত্ব দেবেন।
জনসাধারণের জীবনমানের খরচ বৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দিকে দৃষ্টি দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তার দল এসএনপির ভিতরে যে বিরোধ দেখা দিয়েছে তা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি স্কটল্যান্ডকে স্বাধীন করার জন্য নতুন করে উদ্যোগ নেয়ার কথা বলেছেন।
Leave a Reply