বৈশাখ মানেই বোরো ধান ঘরে তোলার সময়। তাই তো বৈশাখের প্রথম দিনে পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন হাওরের কৃষকরা।
হাওরের মানুষের আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ বৈশাখকে ঘিরে এ অঞ্চল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুনামগঞ্জে এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।
ফলে হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে। বৈশাখের প্রথম দিন সূর্য উঠার সঙ্গে সঙ্গে মাথায় গামছা পেচিয়ে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার ১০ লাখ কৃষক হাওরের ধান কাটতে মাঠে নামেন।
করচার হাওরের কৃষক নূর আলম মিয়া। মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে পাঁচ একর জমিতে বোরো ধান আবাদ করেছিলেন। সেই ধানের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে নূর আলমের মুখে। তাই পরিবারের দুই ছেলেকে নিয়ে সেই ধান বস্তায় ভরে বাসায় নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বৈশাখের প্রথমদিন কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে নূর আলমের। শুধু নূর আলম নয় বোরো ধানের বাম্পার ফলনে হাসি ফুটেছে হাওর পাড়ের সব কৃষকের মুখে।
করচার হাওরের কৃষাণী লিজা বেগম বলেন, স্বামী ধান বাড়ির সামনে নিয়ে আসছেন আর সেই ধান আমি রোদের দিয়ে শুকাচ্ছি।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, হাওরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। শ্রমিকের কোনো সংকট নেই। আশাকরি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে।
বৈশাখের প্রথম দিনে ধান ঘরে তুলতে পেরে সত্যি খুব খুশি লাগছে শনির হাওরের কৃষক রবি মিয়া। তিনি পরিবার নিয়ে পুরো বছরটা শান্তিতে কাটাতে পারবো।
চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জের ১৩৭ হাওরে দুই লাখ ২২ হাজার ৭৯৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
এখান থেকে ধান উৎপাদন হবে ১৩ লাখ ৫৩ হাজার মেট্রিক টন। যা থেকে ৯ লাখ দুই হাজার মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হবে। যার বাজার মূল্য ৩ হাজার ৮৮ কোটি টাকা।
Leave a Reply