যুক্তরাজ্যের রাজনীতিতে কয়েক বছর ধরেই টালমাটাল অবস্থা। রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান কনজারভেটিভ পার্টির লিজ ট্রাস।
পরে প্রধানমন্ত্রী হন একই দলের ঋষি সুনাক। প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিসেবে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন ঋষি।
তবে তার শাশুড়ির দাবি, জামাতার এমন অভাবনীয় সাফল্যের মূল কারিগর তার মেয়ে অক্ষতা মূর্তি। তিনিই ঋষি সুনাককে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন।
কথায় বলে, সব পুরুষের সাফল্যের পেছনেই কোনো না কোনো নারীর হাত থাকে। সেটি বোঝাতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেন ঋষির শাশুড়ি সুধা মূর্তি।
তার মেয়ে ঋষি সুনাককে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে, সম্প্রতি এমন বক্তব্য দেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
২০০৯ সালে অক্ষতাকে বিয়ে করেন ঋষি সুনাক। তার শ্বশুর বহুজাতিক তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনফোসিসের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ভারতীয় ধনকুবের নারায়ণ মূর্তি।
শাশুড়ি সুধা মূর্তি সাহিত্যিক ও সমাজসেবী হিসেবে পরিচিত। কম যান না অক্ষতাও। ঋষির স্ত্রী ছাড়াও একাধিক পরিচয় রয়েছে তার।
পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার অক্ষতার সঙ্গে ঋষির দেখা হয় স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনার সময়।
২০০৯ সালে বেঙ্গালুরুতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে হয় তাদের। অক্ষতার ব্যক্তিগত সহায়–সম্পত্তির পরিমাণ ৭৩ কোটি পাউন্ড।
তবে সম্পত্তি, আয়কর এবং রাশিয়ার সঙ্গে ‘বিশেষ সম্পর্ক’-এর কারণে যুক্তরাজ্যে তদন্তের মুখে পড়েছিলেন তিনি।
যেসব ব্যক্তি বিদেশি নাগরিক, কিন্তু পেশাগত কারণে যুক্তরাজ্যে থাকেন, তাদের একটি বিশেষ কর দিতে হয়। ‘প্রভাব খাটিয়ে’ সেই কর ফাঁকির অভিযোগ উঠেছিল অক্ষতার বিরুদ্ধে।
বারবার বিতর্কের মুখে পড়ায় ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রথমবার হেরে যাওয়ার পর গত বছর অক্ষতার দিকে আঙুল তুলেছিল ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো।
তবে সম্প্রতি সুধা মূর্তি বলেছেন, ঋষি সুনাককে তার মেয়েই প্রধানমন্ত্রী করেছে।
ঋষির প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে সুধা মূর্তিকে বলতে শোনা যায়, এর কারণ হলো স্ত্রীর মহিমা। দেখুন কীভাবে একজন স্ত্রী তার স্বামীকে বদলে দিতে পারে।
যদিও আমি আমার স্বামীকে বদলে দিতে পারিনি। আমি আমার স্বামীকে ব্যবসায়ী বানিয়েছি। কিন্তু আমার মেয়ে তার স্বামীকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছে।
এটি ছাড়াও অক্ষতা তার স্বামী ঋষি সুনাকের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করেছেন বলে দাবি করেন সুধা মূর্তি।
ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, মূর্তি পরিবারের দীর্ঘদিনের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। সেটি হলো প্রতি বৃহস্পতিবার উপবাস থাকা। সুনাকও নাকি সেই রীতি মেনে প্রতি বৃহস্পতিবার উপবাস থাকেন।
Leave a Reply