ছেলের স্বাস্থ্য ফেরাতে নিয়মিত প্রোটিন ড্রিঙ্ক খাওয়াতেন বাবা। আর তাতেই হল বিপত্তি। কখন যে তলে তলে জটিল রোগ বাসা বেঁধেছিল কিশোরের শরীরে তা জানাই যায়নি।
আচমকাই একদিন অসুস্থ হয়ে পড়ে ছেলেটি। পরীক্ষা করে ধরা পড়ে তার ব্রেনে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। মস্তিষ্ক প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। বিরল জিনগত রোগে শেষে মৃত্যু হয় কিশোরের।
এই ঘটনার পর থেকেই প্রোটিন ড্রিঙ্ক নিয়ে সতর্ক করছেন বিশেষজ্ঞরা। ঘটনা ব্রিটেনের। ২০২০ সালে মৃত্যু হয় লন্ডনের বাসিন্দা ১৬ বছরের রোহান গোধানিয়ার।
ছেলেটির পরিবার জানিয়েছে, ওয়েস্ট মিডলসেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাকে। সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা করে জানান অর্নিথিন কার্বামাইলেজ (ornithine transcarbamylase (OTC) নামে বিরল জিনগত রোগে ভুগছিল কিশোর।
আর সেই রোগেই মৃত্যু হয় তার। ব্রিটেনের স্বাস্থ্যকর্তাদের অনুমান প্রোটিন ড্রিঙ্কের কারণেই সেই রোগ বাসা বেঁধেছিল কিশোরের শরীরে।
মৃত কিশোরের বাবা জানিয়েছেন, ছেলে খুব রোগা ছিল। তার স্বাস্থ্য ফেরাতে প্রোটিন ড্রিঙ্ক কিনে আনতেন তিনি। কিন্তু ওই ড্রিঙ্ক খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করে ছেলে।
চিকিত্সকরা জানান রক্তে অ্যামোনিয়ার মাত্রা কমতে শুরু করেছিল ছেলেটির। ওই অবস্থাকে বলে অর্নিথিন ট্রান্সকার্বামাইলেজ (OTC)। মাইটোকন্ড্রিয়াল এনজাইম অর্নিথিন ট্রান্সকার্বামাইলেজের জন্য অনেক সময় জিনে মিউটেশন হয়।
ফলে জিনগত বিন্যাসের রাসায়নিক বদল হতে শুরু করে। এর থেকে নানারকম জটিল রোগ হতে পারে। ওই কিশোরের যেমন ব্রেন ড্যামেজ হতে শুরু করেছিল।
বিশেষজ্ঞদের মত, প্রোটিন ড্রিঙ্ক খেতে হলে বাড়িতেই প্রোটিন পাউডার বানিয়ে নেওয়া উচিত। বাজারচলতি প্রোটিন শেক বা প্রোটিন ড্রিঙ্ক নিরাপদ নাও হতে পারে। বাইরে থেকে কিনে আনা ড্রিঙ্কে এমন কিছু রাসায়নিক থাকে যা সকলের শরীরের জন্য সঠিক নয়।
আর যদি আগে থেকে কোনও রোগ থাকে বা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে, তাহলে সেইসব রাসায়নিক উপাদান শরীরে নানারকম বিক্রিয়া ঘটাতে পারে। এর থেকে জটিল ও বিরল অসুখ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে।
Leave a Reply