জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে একমত যুক্তরাষ্ট্র। সহিংসতা মুক্ত একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে নিজেদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন করেনি দেশটি।
বৃহস্পতিবার নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এই মন্তব্য করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যে বার্তা দিয়েছিলো, সে জায়গায় কোনো নড়চড় হয়নি।
প্রশ্ন করা হয়, আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঘোষণা করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। বিরোধী দলগুলোর সরকার পদত্যাগের দাবি এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সমঝোতার আহ্বান প্রত্যাখান করে নির্বাচনের এই তারিখ ঘোষণা করা হলো।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বাদে প্রধান বিরোধী দলসহ দেশের সকল রাজনৈতিক দল এই তফসিলকে প্রত্যাখান করেছে। অন্যদিকে বিরোধীদের ওপর সরকারের নিপীড়ন অব্যাহত রয়েছে। অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন এবং সরকারকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী?
ম্যাথু মিলার বলেন, আগামী নির্বাচন নিয়ে আমাদের যে বার্তা, তাতে কোনো নড়চড় হয়নি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পরও একই বার্তা দিচ্ছি। বাংলাদেশের জনগণ যা চায়, আমরাও তা চাই। সেটা হল শান্তিপূর্ণ উপায়ে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো একক দলকে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করেনা। এক দলের ওপর অন্য রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্যও দেয়া হয়না। আমরা সব পক্ষকে আহ্বান জানাই, তারা যেনো সংযম অবলম্বন করে, সহিংসতা পরিহার করে এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরিতে যেনো একসঙ্গে কাজ করে।
প্রশ্ন করা হয়, ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা অব্যাহতভাবে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রদূতকে জবাই করার হুমকি দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নিজের এবং দূতাবাস কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি এই হুমকি এবং সহিংসতামূলক বক্তব্যগুলোকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করছেন?
উত্তরে মিলার বলেন, রাষ্ট্রদূতদের নিরাপত্তার বিষয়টি অবশ্যই আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তাদের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের হুমকিকে খুব গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হয়। যেকোনো সহিসংতা কিংবা আমাদের রাষ্ট্রদূতদের লক্ষ্য করে হামলার হুমকি কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে টার্গেট করে হামলার হুমকির এবং সহিংসাতামূলক বক্তব্যের দেয়ার বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারের কাছে একাধিকবার জানানো হয়েছে। বিষয়টি শুধু উদ্বেগেরই নয়, অবশ্যই অগ্রহণযোগ্য।
বাংলাদেশ সরকারকে উদ্দেশ্য করে মিলার আরও বলেন, আমরা তাদেরকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ভিয়েনা কনভেনশনের কূটনৈতিক সম্পর্কের নীতি অনুসারে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস এবং কূটনীতিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা তাদের রয়েছে। আমরা আশা করি তারা সেই বাধ্যবাধকতার শর্তগুলো মেনে কাজ করবে।
Leave a Reply