ব্রিটেনে গত বছরের মার্চ মাসে খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১৯ শতাংশ। আর চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে এই হার দাঁড়িয়েছে ৫ শতাংশে। দেশটির মূল্যস্ফীতির হার আরও কমছে।
পণ্য ও সেবার মূল্য বৃদ্ধির হার ৪ শতাংশ থেকে কমে ফেব্রুয়ারি মাসে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। এর ফলে রেস্টুরেন্টের খাবারের দামও কমে আসছে।
গত আড়াই বছরে এটিই সর্বনিম্ন মূল্যস্ফীতির হার। মূল্যস্ফীতির হার কমার মানে হলো, মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত আছে ঠিকই, তবে পণ্য ও সেবার মূল্য কম হারে বাড়ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্য পণ্য ও জালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে ২০২২ সালে ব্রিটেনে মূল্যস্ফীতি ১১ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য কমার ফলে এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের উচ্চ সুদের হারের কারণে এখন মূল্যস্ফীতি কমে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির হার কমার সাথে কিছু সুখবর পাওয়া গেছে। যেমন- ব্রেড, সিরিয়েল, কেইক- এ ধরনের পণ্যের দাম কমছে। অর্থাৎ খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি কমেছে।
আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার ২ শতাংশে নেমে আসবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি ৫ শতাংশে নেমে এলেও সেবা খাত, যেমন, হোটেলের ভাড়া, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির বিল এবং ইনস্যুরেন্সের মতো সেবার মূল্যস্ফীতি এখন খাদ্যের মূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশী যা ৬ দশমিক ১ শতাংশ।
এ কারণে এখনও কিছুটা শঙ্কিত ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড দেখতে চায় মূল্যস্ফীতির হার ২ শতাংশে নেমে এসে একটা স্থিতাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। কেবল তখনই সুদের হার কমাবে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ে এখনও টালমাটাল অবস্থায় আছেন ব্যবসায়ীরা।
অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অবশ্য তাদের পণ্য ও সেবার দাম কমিয়েছে। কারণ তাদের আশংকা, ভোক্তা ও ক্রেতারা বাড়তি মূল্যের চাপ নিতে পারবেন না।
মূল্যস্ফীতি কমার খবরকে স্বাগত জানাচ্ছেন সবাই, কিন্তু মূল্যস্ফীতির হারকে কমিয়ে সেখানে ধরে রাখাই বড় চ্যালেঞ্জ। তবে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আশাবাদী। তিনি বলছেন, চলতি বছরেই ব্রিটিশ অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।
প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি বলছে, পরিস্থিতির আরও অনেক উন্নতি হতে হবে। চ্যান্সেলর জেরেমি হান্টও একমত।
ট্যাক্সি কোম্পানি তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করার পরিকল্পনা করেও এগুতে পারছে না। কারণ তাদের ড্রাইভারদের ইনস্যুরেন্স প্রিমিয়াম বেড়ে গেছে।
Leave a Reply