রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ইহুদিরা নানা রকম ষড়যন্ত্র ও গাদ্দারি করে যাচ্ছিল।
ইসলাম ও মুসলমানদের একেবারে নিশ্চিহ্ন করে দিতে তারা মক্কার কাফিরদের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। এই যুদ্ধের পর নবিজি মদিনার ইহুদি গোত্র বনু কুরাইজাকে অবরোধ করেন।
তাদের সকল পুরুষকে হত্যা করেন ও নারীশিশুকে দাসদাসী হিসেবে বন্দি করেন। বনু কুরাইজার যুদ্ধবন্দি হিসেবে রায়হানা বিনতে শামউন দাসী হিসেবে নবিজির ঘরে আসেন। নবিজি তাঁকে ইসলাম গ্রহণের প্রস্তাব করেন।
প্রথমে তিনি ইসলাম গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুদিন পর ইসলাম গ্রহণ করলে নবিজি তাঁকে বিয়ে করেন। এভাবেই রায়হানা বিনতে শামউন বিন জায়েদ নবিজির স্ত্রী হওয়ার মর্যাদা লাভ করেন—রাদিয়াল্লাহু আনহা।
ইন্তিকাল ও দাফন: রায়হানা (রাঃ) রাসূলের ওফাতের ১৬ মাস পূর্বে মতান্তরে ১০ম হিজরীতে বিদায় হজ্জ থেকে প্রত্যাবর্তনের পর ইন্তিকাল করেন। তাঁকে ‘বাক্বীউল গারক্বাদ’ নামক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
সমাপনী: রায়হানা (রাঃ) রাসূলের সান্নিধ্যে আসার পর থেকে আমৃত্যু তাঁর অধীনে ছিলেন। মহানবী (ছাঃ) এর প্রতি অকৃত্রিম ভালবাসা ও তাঁর একনিষ্ঠ আনুগত্য ছিল তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অন্যতম দিক।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)ও তাকে মুহাববত করতেন। রিসালাতে মুহাম্মাদীর সংস্পর্শে এসে রায়হানা (রাঃ) নিজের জীবনকে রাঙিয়ে ছিলেন ইসলামের কালজয়ী আদর্শের সমুজ্জ্বল আলোকমালায়।
এরপর ইসলামের উপর আজীবন তিনি অটল ও অবিচল ছিলেন। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর মত ইসলামের আদর্শে জীবন গড়ার তাওফীক্ব দিন- আমীন!
Leave a Reply