সৈয়দ সাইফুল ইসলাম: হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাজোট ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে আগেই। নির্বাচনে যাওয়ার ক্ষেত্রেও কতগুলো শর্ত দিয়ে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার শুরু করেছে দলটি। সরকার থেকে বের হয়ে আসতে দলীয় মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। এরপরও দলটির পিছু ছাড়ছে না ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ মনে করছে বিএনপির সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত কোনো ধরণের সমঝোতা না হলে সেক্ষেত্রে জাতীয় পার্টিই তাদের শেষ ভরসা।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে এরশাদের নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণায় অটল থাকায় বিকল্প হিসেবে এরশাদের স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম রওশন এরশাদকে জাতীয় পার্টি থেকে ভাগিয়ে এনে নির্বাচনমূখী করার সব ধরণের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। আওয়ামী লীগের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।সূত্রটি জানায়, বুধবার রাতে ১৪ দলের শরীক দলগুলোর মধ্যে আসন ভাগাভাগি করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে একটি বিশেষ বৈঠকে মহাজোটের শরীকদের মধ্যে আসন ভাগাভাগির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির (জেপি) মহাজোটে সরাসরি না থাকলেও তার দলের জন্য দুটি আসন রাখা হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে না আসলে আওয়ামী লীগ ২২৮ আসনে এককভাবে নির্বাচন করবে। জাতীয় পার্টির জন্য রাখা হয়েছে ৬১ আসন। শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ নির্বাচনে না আসলে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টির একাংশকে নির্বাচনে আনার চেষ্টা চালানো হবে।
ইতোমধ্যে রওশন এরশাদের কাছে জাতীয় পার্টির ৬১ আসনের তালিকাও পৌঁছানো হয়েছে বলে দলীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।তাছাড়া মহাজোটের শরীক রাশেদ খান মেননের দল ওয়ার্কার্স পার্টিকে তিনটি, জাসদকে চারটি ও তরিকত ফেডারেশনকে দুটি আসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট নির্বাচনে আসলে আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে কিছুটা হেরফের হতে পারে।
আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানিয়েছে, তফসিল অনুযায়ী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও আন্দোলনরত ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে সংলাপ একই সঙ্গে চালিয়ে যাবে সরকার। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে বিএনপি নির্বাচনে আসলে ঘোষিত তফসিল পরিবর্তন করা হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সূত্রটি।