শীর্ষবিন্দু নিউজ: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন এমপি নির্বাচিত, এখন নির্বাচনের প্রয়োজন আছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেন, নির্বাচন একটি আইনি প্রক্রিয়া। মাঝপথে থেমে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ব্যালট পেপার ছাপানোর জন্য ইতোমধ্যে প্রেসকে বলা হয়েছে। রোববার দিনগত রাত ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর শেরে বাংলানগরস্থ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ব্যালট বক্স সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হয়েছে। বিনা ভোটে ১৫৪ প্রার্থী বিজয়ী, এটা লজ্জার বিষয় কি-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কারণে এমনটি হয়েছে। এই বিষয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। রিটার্নিং অফিসার বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রার্থী বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় রিটার্নিং অফিসার ও ইন্টারনেট থেকে আমাদের কাছে তথ্য আসছে, যে কারণে এমনটা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসি সচিব ড.মোহাম্মদ সাদিক ও অতিরিক্ত সচিব সিরাজুল ইসলাম।
এদিকে কমিশন সূত্র জানায়, রোববার সকাল ১০টা থেকে রাত পৌনে ১১টা পর্যন্ত সারাদেশের চূড়ান্ত প্রার্থীর হিসাব মেলাতে হিমশিম খেয়েছে কমিশন। সকাল থেকে রকিবউদ্দীন’র নেতৃত্বাধীন কমিশন কয়েক দফা বৈঠক করে রাতে প্রার্থীর হিসেব চূড়ান্ত করেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর থেকে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫৪ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভের পর ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছে কমিশন।
অভিযোগ রয়েছে, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষদিন অনেকে আবেদন করলেও রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাদের আবেদন গ্রহণ না করে প্রার্থিতা ঘোষণা করে প্রতীক বরাদ্দ দেন। সরকারের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অনেক এলাকা থেকে বিলম্বে রিপোর্ট পাঠিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তারা কমিশন বা আইনের কোনো তোয়াক্কা না করে নিজেদের পছন্দের লোকের কথায় দায়িত্ব পালনের অভিযোগ আসছে কমিশনে। এসব বিষয়ও বৈঠকে আলোচনা হয়।
আরো অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, ফেনী-১ আসনে বিএনএফ প্রার্থী শাহরিয়ার ইকবালের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) প্রার্থী শিরীন আখতারকে একক প্রার্থী হিসেবে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। অথচ বিএনএফ প্রার্থী শাহরিয়ার নিজে কিংবা কারো মাধ্যমে মনোনয়ন প্রত্যাহারের আবেদন করেননি। তিনি দাবি করেন, ওপর মহলের চাপে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ নিয়ে নির্বাচন কমিশনে এসেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে এসে কোনো সুরাহা হয়নি।