শীর্ষবিন্দু নিউজ: বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক সহিংসতা বন্ধ না হলে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র-বিষয়ক কংগ্রেস কমিটি আবার শুনানি করে একটি সিদ্ধান্তে আসবে বলে জানিয়েছেন এই কমিটির সদস্য গ্রেস মেং। সংকট নিরসনে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সহায়তার কোনো বিকল্প নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
রোববার নিউ ইয়র্কের জ্যামাইকায় তিনি বলেন, পরিস্থিতির উন্নয়ন না ঘটলে ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির উদ্যোগে আমরা আরেকটি শুনানির আয়োজন করব এবং সে সময় সুস্পষ্ট একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধ্য হতে পারি। নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে এই কংগ্রেস সদস্য বলেন, এ পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্যে কোনোভাবেই সহায়ক নয়। রেললাইন উপড়ে ফেলা, যাত্রীভর্তি বাসে বোমা নিক্ষেপ, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর বোমা হামলা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে আগুন দেয়াকে কোনোভাবেই রাজনৈতিক কর্মসূচি বলা যায় না।
মেং জানান, গত ১২ ডিসেম্বর ফরেন রিলেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড আর রয়েস ও কংগ্রেসনাল বাংলাদেশ ককাসের চেয়ারম্যান জোসেফ ক্রাউলিসহ ছয় কংগ্রেস সদস্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতাকে চিঠি দিয়ে সমাঝোতায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তার আগে আমরা বৈঠক করে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছি। বাংলাদেশে এখন যে ধরনের কর্মকাণ্ড চলছে, তাতে আমরা সেখানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে সন্দিহান। বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র অভিহিত করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ব্যাহত হয়- এমন কোনো কর্মকাণ্ড তারা দেখতে চান না।
আগামী দশম সংসদ নির্বাচন ‘সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশেই’ হবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সংযমী হয়ে সামনের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সহায়তার বিকল্প নেই। গত ২০ নভেম্বর মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপকমিটিতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ‘বাংলাদেশ ইন টারময়েল: এ নেশন অন দ্য ব্রিংক?’ শিরোনামে শুনানি হয়।
নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, রাজপথের হরতাল-সহিংসতা এবং ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের’ ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় ওই শুনানিতে। কংগ্রেসের পররাষ্ট্র-বিষয়ক উপ কমিটির চেয়ারম্যান স্টিভ শ্যাবটের সভাপতিত্বে কংগ্রেস সদস্য ব্র্যাড শারমেন, তুলসি গ্যাবার্ড, গ্রেস মেং ও জেরার্ড ই কোনোলি ওই শুনানিতে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।