শীর্ষবিন্দু নিউজ: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, দেশ যেভাবে এগিয়ে যাওয়ার সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার পূর্বনির্ধারিত থাকলেও বাগেরহাট নোটারি পাবলিকের দুই আইনজীবী ট্রাইব্যুনালে হাজির না হওয়ায় তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান একথা বলেন।

দুই আইনজীবী আব্দুল ওয়াদুদ ও শামীমা আক্তার হরতাল-অবরোধের কারণে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পারেননি বলে তাদের পক্ষে আইনজীবী এইচএম তামিম সময় বাড়ানো আবেদন জানান। এ সময় ট্রাইব্যুনাল বলেন, আদালতে আইনজীবীরা আসছেন। বিভিন্ন এলাকা থেকে মামলার সাক্ষীরাও আসছেন। ওনারা কেন আসতে পারেননি? পরবর্তী তারিখে ওনারা না আসতে পারলে তাদের যেখানে যাওয়ার সেখানেই যাবেন।
এ সময় আইনজীবী তামিম বলেন, ওনারা চেষ্টা করেও আসতে পারেননি।

ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এ সময় বলেন, তারা চেষ্টা করেননি। আমরা চেষ্টা করিয়ে দিলেই তারা আসবেন। আমরা যদি ভুল করে কোনো আদেশ দিয়ে দিই ওই আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করা যাবে না।
ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান তামিমের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাকে তো কোনো বোমা-আগুন-হামলা-জামায়াত-শিবির ও আওয়ামী লীগ কিছুই পায় না। আপনি তো ট্রাইব্যুনালে আসতে পারেন। আপনার সিনিয়র আইনজীবী আসতে পারেননি কেন?

এ সময় ট্রাইব্যুনাল আরো বলেন, আল্লাহর পরে প্রধানমন্ত্রী, তার পরে ট্রাইব্যুনাল। আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১২ জানুয়ারি বাগেরহাটের ওই দুই আইনজীবীকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন। এ সময় ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর জাহিদ ইমান উপস্থিত ছিলেন।

জামায়াতের সিনিয়র নায়েবে আমির একেএম ইউসুফের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষী আসিয়া খাতুনের নামে ২০১০ সালে একটি এফিডেফিট করা হয়। বাগেরহাট নোটারি পাবলিকের ওই দুই আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ ও অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার ওই এফিডেফিট করান। ওই সময় ইউসুফের আইনজীবী ট্রাইব্যুনালকে জানান, ওই এফিডেফিট সাক্ষী আসিয়া বলেন, একাত্তরে একেএম ইউসুফ মানবতাবিরোধী কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কিন্তু সাক্ষী আসিয়া ট্রাইব্যুনালে তার জবানবন্দিতে দাবি করেন, এমন কোনো এফিডেফিট তিনি করেননি।

এ কারণে ট্রাইব্যুনাল-২ নোটারি পাবলিকের ওই দুই আইনজীবীকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাপারে পরিষ্কার ধারণা দিতে আদেশ দেন। গত ১৫ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট আব্দুল ওয়াদুদ আদালতে উপস্থিত হন। কিন্তু অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট শামীমা আক্তার না আসায় তার উপস্থিত নিশ্চিত করতে বাগেরহাটের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এরপর গত ১৯ ডিসেম্বর শামীমা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছিলেন।