শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: নিজেকে স্বাধীন দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে ইউক্রেনের উপদ্বীপ ক্রিমিয়া। রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে গণভোট প্রক্রিয়াকে ত্বরানিত করতে এ ঘোষণা দিল ক্রিমিয়া পার্লামেন্ট। মঙ্গলবার ক্রিমিয়ার পার্লামেন্টে ঘোষণাটি ১০০ সদস্যের মধ্যে ৭৮ জন ঘোষণার পক্ষে ভোট দেয়। এদিন পার্লামেন্টে ৮১ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। তবে ক্রিমীয় পার্লামেন্টের ঘোষণাকে অবৈধ বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় সরকার।
আগামী ১৬ মার্চ রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দেওয়ার ওপর ক্রিমিয়া গণভোট হবে। তিন মাসব্যাপী সরকারবিরোধী আন্দোলনের মুখে প্রেসিডেন্ট ইউক্রেন ছেড়ে পালানোর পর থেকে ক্রিমিয়ায় ইউক্রেনের কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। রুশ নৃ-গোষ্ঠী অধ্যুষিত ক্রিমিয়ার স্থানীয় সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে সেখানে সৈন্য পাঠায় রাশিয়া। কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্রিমিয়ার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে রুশ সৈন্য।
গত বছরের নভেম্বরে ইউক্রেনের রুশপন্থী প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বাণিজ্যিক চুক্তি থেকে সরে আসার পর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রপন্থীরা। বিভিন্নভাবে আন্দোলন থামানোর চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হয় ইয়ানুকোভিচের সরকার। প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী পরিষদের পদত্যাগের পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান ইয়ানুকোভিচ। এর কিয়েভের অস্থায়ী সরকার ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে।
এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, সার্বিয়া থেকে কসোভো যেভাবে আলাদা হয়েছে সেভাবেই ক্রিমিয়া স্বাধীনতা ঘোষণা করছে। এতে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হচ্ছে না। কৌশলগত দিক থেকে রাশিয়ার জন্য ক্রিমিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার চারটি নৌ বহরের একটির অবস্থান ক্রিমিয়ার সেভাস্তিপলে থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে কৃষ্ণ সাগরে। বৈধ সরকারকে জোরপূর্বক ক্ষমতাচ্যুত করার অভিযোগ এনে রাশিয়া ইয়ানুকোভিচকে সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। ইয়ানুকোভিচের ক্ষমতাচ্যুতির পরপরেই ক্রিমিয়া পৃথক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। ইউক্রেনের অখণ্ডতা রক্ষা করতে সব চেষ্টা চালানোর কথা জানালেও রুশ সৈন্যের উপস্থিতি কোনো কিছুই করতে পারেনি কিয়েভ সরকার।