সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ-লন্ডন থেকে: ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ইসলামিক শরীয়া ল ব্রিটিশ আইনের দ্বারা সলিসিটর্সদের জন্য গাইড লাইন পেতে যাচ্ছে বলে ডেইলি টেলিগ্রাফ আজকে এক নিবন্ধে জানিয়েছে।
গ্রাউন্ড ব্রেকিং গাইডেন্সে হাই ষ্ট্রীট সলিসিটির্স ফার্ম এখন থেকে হয়তো ইসলামিক শরীয়া আইনে উইল লিখতে পারবেন, যে শরীয়া আইনে নারী পুরুষের সমান ইনহ্যারিটেন্স অধিকার স্বীকার করেনা-আন্ডার দিস গাইডেন্স, এই ডকুম্যান্টস ব্রিটিশ আইনে স্বীকৃত হতে যাচ্ছে বলে টেলিগ্রাফ মন্তব্য করেছে।
টেলিগ্রাফ আরো জানিয়েছে, কেউ চার্চে কিংবা মন্দিরে বিয়ে করে সম্পত্তি ভাগের এই শরীয়া উইল-এর প্রটেকশন পাবেনা, কেননা শরীয়া আইন কেবলমাত্র মুসলিম সমাজের শরীয়া সম্মত বিয়েকে বৈধ স্বীকৃতি দেয়।
ব্রিটিশ ল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস ফক্স টেলিগ্রাফকে বলেছেন, “আন্ডার দ্য গাইডেন্স অব শরীয়া-ল” ব্রিটিশ লিগ্যাল সিস্টেমে “ভেরি গুড” এক প্র্যাকটিস হিসেবে ইসলামিক শরীয়া নীতি মালা এপ্লাই করা হবে।
ব্যারোনেস কক্স সহ অনেকেই এই শরীয়া আইনের বিরোধিতা করছেন।কোন কোন সলিসিটর্স বলছেন, শরীয়া আইন ব্রিটেনের মুসলিম কমিউনিটিতে প্যারালাল আইন হিসেবেই আছে, গাইড লাইন এতে অনেক জটিলতার সৃষ্টি করবে।ব্যারোনেস কক্স ইসলামিক শরীয়া আইন ব্রিটিশ আইনের সাথে ডিভোর্স সহ চাইল্ড কাষ্টডি ইত্যাদি বিষয়ে অনেক সমস্যাকে চিহ্নিত করে তিনি এর বিরোধিতা করছেন।তিনি বলেন, প্রত্যেকের নিজস্ব স্বাধীনতা ও নিজস্ব ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি স্বাধীনতা ও শ্রদ্ধা থাকা উচিত কিন্তু পার্টিকুলারলি যখন আইনি ব্যাপারে এই ধর্মীয় বিশ্বাসকে সার্বজনীন আইনে স্বীকৃত দেয়া হয়, তখন অন্যান্য ভ্যালুজ ও কাস্টমস আহত হয়, যা কারোও কাম্য নয়-ইত্যাদি।
ব্রিটেনের আইনে এখনো শরীয়া আইন রিকগনিশন বা স্বীকৃত নয়, যদিও কিছু কিছু শরীয়া নেটওয়ার্ক, মসজিদ এবং ইসলামিক কাউন্সিল যথেষ্ট স্বীকৃত পন্থায় ইসলামিক ডিভোর্স ও চাইল্ড প্রটেকশন ও চাইল্ড কাষ্টডি নিয়ে ব্রিটিশ আইনের সাথে মিলে কাজ করছে।শরীয়া নেট ওয়ার্কের কাজের পরিধির ফলে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শরীয়া কোর্টের রেফারেন্স অবশ্যিক হওয়াতে ব্রিটিশ ট্র্যাডিশনাল আইনের স্বীকৃত ও সলিসিটর্স গাইড লাইন পেতে মস্ক সহ ইসলামিক কাউন্সিল স্থানীয় কাউন্সিল সহ লেজিসলেটিভ সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করার ফলে এমন গাইড লাইনের কথা জাস্টিস ডিপার্টম্যান্ট এখন ভাবছে।
পার্লামেন্ট যথেষ্ট পরিমাণে অবগত ইসলামিক শরীয়া আইন, ইসলামিক ডিভোর্স ও চাইল্ড কাষ্টডি নিয়ে মসজিদ ও কাউন্সিল শরীয়া আইনে কাজ করার নেটওয়ার্ক বৃদ্ধির তাই মিডিয়েশনের অফারের কথা ভাবছে, সেজন্যে পার্লামেন্টে সাজেশন এসেছে, শরীয়া ল` এডজাষ্ট এর বিপরীতে মিডিয়েশনের।
টেলিগ্রাফের মতে ব্রিটেনে ৮৫টির মতো শরীয়া বডি এখন কাজ করছে, এবং পার্লামেন্ট বা জাস্টিস সেক্রেটারি এই শরীয়া আইন ব্রিটিশ আইনের মাধ্যমে সলিসিটর্সদের জন্য গাইড লাইন করে দেয়ার মধ্যমে ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো ইসলামিক শরীয়া আইন স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। শরীয়া আইনের ড্রাফটে ১৮৩৭ সালের এক্ট- যা ইসলামিক আইনে স্বীকৃত নয়, সেটার উপর ভিত্তি করে এখন নতুন করে গাইড লাইন আসছে।
ন্যাশনাল সেক্যুলার সোসাইটির কিথ পরর্টোয়াস উড বলেন, শরীয়া গাইড লাইন ব্রিটেনের ডেমোক্রেটিক আইনি ইষ্টাবলিশম্যান্ট এবং সোসাইটিকে আন্ডারমাইন হিসেবে দেখে তিনি বলছেন বিগত ৫০০ বছরে চলে আসা ব্রিটিশ ট্র্যাডিশনাল আইনের উন্নতি ও সেক্রিফাইসকে ম্লান করে দিবে ।