শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিমেন্স এবং যুক্তরাজ্যের এসোসিয়েটেড ব্রিটিশ পোর্ট প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রিটিশ বায়ূচালিত টারবাইন ফ্যাক্টরীসমূহ স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এতে এক হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। হাল শহরে-এ গ্রীন পোর্ট উন্নয়নে সিমেন্স-এর সহযোগী এসোসিয়েটেড ব্রিটিশ পোর্টস এই প্রকল্পে ১৫০ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করছে। যৌথ বিনিয়োগ ৩১০ মিলিয়ন পাউন্ড। গ্রীন পোর্ট ফ্যাসিলিটি অফসৌর অর্থাৎ উপকূলীয় সমুদ্রে বায়ূচালিত টারবাইন নির্মাণ, সংযোজন ও সার্ভিসের কাজ করবে।
সীমেন্স যুক্তরাজ্যে বায়ূচালিত টারবাইন প্রোডাকশনের জন্য ১৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এটা এর আগের বছরে বিনিয়োগের দ্বিগুণ। এই বিনিয়োগ করা হবে দু’টি স্থানে। সেগুলো হচ্ছে হাল-এর গ্রীণ পোর্ট প্রোজেক্ট এবং ইষ্ট ইয়র্কশায়ারের পল-এ। সীমেন্স জানায়, যুক্তরাজ্য সমুদ্রোপকূলীয় বায়ূশক্তির সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
পল-এর দ্বিতীয় সিমেন্স সাইট ব্যবহৃত হবে ৭৫ মিটার দীর্ঘ রটোর ব্লেড তৈরীতে। জ্বালানী মন্ত্রী এড ডেভী আরো বলেন, এই বিনিয়োগ এটাই নির্দেশ করে যে, যুক্তরাজ্য এমন সব উদ্যোগকে সহায়তা করবে যেগুলো উন্নত অবকাঠামো সম্বলিত এবং কম ট্যাক্স যুক্ত। তিনি বলেন, বায়ূ শক্তি জ্বালানী উৎপাদনের একটি কার্যকর মাধ্যম। জনগণও বায়ূ শক্তির পক্ষে-যা বিপুল সংখ্যক গ্রীন জব সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, আগামী ১০ বছরের মধ্যে আশা করা যায়, বায়ূ তেল ও গ্যাসের সাথে পাল্লা দেবে। কিন্তু এ জন্য বিনিয়োগ করতে হবে।
সিমেন্স-এর জ্বালানী খাতের প্রধান মিখায়েল সুয়েস বলেন, আমরা নির্ভরযোগ্য শর্তে বাজারসমূহে বিনিয়োগ করছি, যাতে ফ্যাক্টরীগুলো তাদের ক্ষমতা পর্যন্ত কাজ করতে পারে। ব্রিটিশ জ্বালানী মন্ত্রী এড ডেভী বলেন, হাল-এর জন্য এটা একটি দারুণ খবর, এটা যুক্তরাজ্যের জন্যও দারুণ খবর। ব্রিটিশ জ্বালানী নীতি সমুদ্র উপকূলীয় বায়ূশক্তির সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি অনুকূল ফ্রেইমওয়ার্ক বা কাঠামো সৃষ্টি করেছে। বিশেষভাবে এটা জ্বালানী উৎপাদনের সামগ্রিক পোর্টফোলিওর মধ্যে সমুদ্র উপকূলীয় বায়ূশক্তির সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়েছে।