শীর্ষবিন্দু নিউজ: জঙ্গিবাদী তৎপরতার জন্য হিযবুত তাওহীদও নিষিদ্ধের তালিকায় যোগ হতে যাচ্ছে। জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে নজরদারি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে ২০০৯ সালের ২০ এপ্রিল এই কমিটি গঠন করা হয়। এরপর ওই বছরের ২২ অক্টোবর নিষিদ্ধ হয় হিযবুত তাহরীর।
জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার কমিটির এক সদস্য বলেছেন, আগামী বৈঠকে হিযবুত তাওহীদকে নিষিদ্ধের সুপারিশ করা হবে। তার আগে ২০০৩ সালে শাহাদাত-ই-আল হিকমা, ২০০৫ সালে জামায়াতে মুজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি),হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশ (হুজি),জাগ্রত মুসলিম জনতা বাংলাদেশ (জেএমজেবি)।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান গণমাধ্যমকে বলেন, র্যাবের নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাদের কার্যকলাপে নাশকতামূলক মনে হয়েছে। হিযবুত তাওহীদকে নিষিদ্ধ করার সুপারিশ করা হবে। হিযবুত তাওহীদ নিষিদ্ধ না হলেও বর্তমানে সরকারের কালো তালিকায় রয়েছে। প্রায় এক বছর পর আগামী বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বসছে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং প্রতিকার কমিটি। কমিটির সদস্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব চৌধুরী মো. বাবুল হাসান বলেন, তারা জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নেতৃত্বাধীন এই কমিটিতে স্বরাষ্ট্র, শিক্ষা, আইন, ধর্ম, সমাজ কল্যাণ, সমাজ কল্যাণ, স্থানীয় সরকার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব সদস্য হিসেবে রয়েছেন। এছাড়া পুলিশ, ডিজিএফআই, বিজিবি, আনসার ও ভিডিপি, মহাপরিচালক (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) র্যাব প্রধানও এই কমিটিতে রয়েছে। এই কমিটিতে পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবও রয়েছে। এই কমিটির সর্বশেষ বৈঠক ২০১৩ সালের ৪ জুন হয়েছিল। আগের সরকারের আমলে ১৬টি বৈঠক হলেও এই সরকারের সময়ে বুধবারই প্রথম বৈঠক হচ্ছে।