মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৫

খুব শিঘ্রই ভূমি রেকর্ড জরিপ ডিজিটালে রুপান্তর

খুব শিঘ্রই ভূমি রেকর্ড জরিপ ডিজিটালে রুপান্তর

শীর্ষবিন্দু নিউজ: ভূমি রেকর্ড ও জরিপ কাজে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে। খুব শিগগিরই ডিজিটাইজড হচ্ছে জমিজমা সংক্রান্ত সব কাজ। তাই ভূমি রেকর্ড ও জরিপকাজে কাগজের ম্যাপ ও নকশা আর থাকছে না। সেটেলমেন্ট প্রেসে খতিয়ান এবং ম্যাপ প্রিন্টিং প্রেসে ম্যাপ মুদ্রণ করা হতো।

কিন্তু প্রেস দুটি’র রি-প্রডাকশন ক্যাপাসিটি কমে যাওয়ায় এবং চাহিদা মোতাবেক মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান তৈরি সম্ভব হতো না অধিদফতরের। নগরীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের সার্বিক উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর বাংলাদেশের সকল জমির রেকর্ড অব রাইটস (আরওআর) প্রণয়ন কাজে নিয়োজিত। এ অধিদফতর ‘দ্য বেঙ্গল সার্ভে অ্যাক্ট’১৮৭৫’ অনুসারে ১৯৮৮ সাল থেকে ম্যাপ ও খতিয়ান মুদ্রণের কাজ করে যাচ্ছে।

পুরোনো পদ্ধতির অবসান ঘটিয়ে জমির খতিয়ান ও ম্যাপের একটি সমন্বিত ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করার কাজ চলছে। ‘স্ট্রেনদেনিং অব সেটেলমেন্ট প্রেস, ম্যাপ প্রিন্টিং প্রেস অ্যান্ড প্রিপারেশন অব ডিজিটাল ম্যাপ’ প্রকল্পের আওতায় অধিদফতরের কাজ শুরু হয়েছে। এতে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ কাজে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগছে। প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশের সব উপজেলা, জেলা এবং দেশে ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত ও মুদ্রণ করা হবে। এ অধিদফতরের আওতায় দু’টি প্রিন্টিং প্রেস ছিল। একটি সেটেলমেন্ট প্রেস এবং অপরটি ম্যাপ প্রিন্টিং প্রেস।

প্রকল্পের কাজ শেষের পথে। দ্রুততম সময়েই দেশের মানুষ এর সুফল পাবে। প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে। ২০১৪ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল প্রকল্পটির। তবে যথাযথভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এখন প্রকল্পের মেয়াদ জুলাই’২০১০ থেকে জুন’২০১৫ সাল। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে এই চাহিদা মেটানো হবে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এডিপিতে অনুমোদিত প্রকল্পের তালিকায় প্রকল্পটিতে ৫ কোটি ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রকল্পের উদ্যোগী মন্ত্রণালয় ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতর।

প্রকল্পের আওতায় আরো কিছু আধুনিক কাজের সংযোজন করা হয়েছে। অধিদফতরে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সেটেলমেন্ট প্রেসের বিদ্যমান মুদ্রণ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে প্রকল্পের আওতায় ৩২ লাখ খতিয়ান মুদ্রণ করা। আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের মাধ্যমে ম্যাপ মুদ্রণ প্রেসের বিদ্যমান মুদ্রণ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে প্রকল্পের আওতায় ৩৬ হাজার মৌজা ম্যাপ সিট মুদ্রণ করা। প্রকল্পটির প্রকিউরমেন্ট প্ল্যানে দেখা গেছে, বাই-কালার মডার্ন অফসেট ম্যাপ প্রিন্টিং প্রেস কেনা হয়েছে। অপর দিকে অধিদফতর প্রযুক্তিনির্ভর করার লক্ষ্যে ২০১২ সালের ১৭ আগস্ট ‘গ্রাফিক্স ক্যামেরা, অটোফিল্ম প্রসেসর, কনটাক্ট কেবিনেট, প্রিন্টিং ডাউন ফার্ম অ্যান্ড অটোফিল্ম প্লেট প্রসেসর’ যন্ত্রটি কেনার জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে যথাসময়ে যন্ত্রটি কেনা হলে প্রকল্পের কাজ যথা সময়ে শেষ হতো।

ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদফতরের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ভূমি ব্যবস্থাপনায় আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। এতে করে পুরাতন পদ্ধতির পরিবর্তে ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে।। এখন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ কাজে ১৮৭৫ সালের ম্যাপ ও খতিয়ান অনুসরণ করতে হবে না। প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় এক আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণভাবে শেষ হলে দেশের সকল জেলা, উপজেলায় ডিজিটাল ম্যাপ প্রস্তুত ও মুদ্রণ করা হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের যুগ্ম প্রধান আনোয়ার হোসেন জানান, প্রকল্প প্রণয়ন এবং যন্ত্রটি ক্রয়ের জন্য নির্ধারিত সময়ের ব্যবধান খুব বেশি নয়। এই স্বল্প সময়ে প্রযুক্তির জগতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়নি। এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট মূল প্রকল্প পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সময় যথাযথ প্রযুক্তি জ্ঞান ও দক্ষতার প্রয়োগ করা হয়নি। তিনি জানান, প্রকল্পে ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে। তবে প্রকৃত ব্যয় হয়েছে ৪ কো‍টি ৪৫ লাখ টাকা।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025