শীর্ষবিন্দু নিউজ: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তাঁর বক্তব্যের জন্য আইন মন্ত্রণালয়কে নয়, বরং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমির এক আলোচনা সভায় সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এসব কথা বলেন। এর আগে আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনে তারেক রহমানের বক্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বলে উল্লেখ করা হয়।
আইন ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, আইন মন্ত্রণালয়কে নয়, আমি বলব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে তারেক রহমান ও তাঁর বক্তব্যে যাঁরা সমর্থন করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করতে। যদি ক্রিমিনাল প্রোসিডিউর অ্যাক্ট-এ কাজ না হয়, তাহলে আইন মন্ত্রণালয় ছোট্ট একটি অরডিন্যান্স জারি করে এ মামলার নিষ্পত্তি করতে পারে।
সুরঞ্জিত বলেন, সংবিধানে ইতিহাস বিকৃতির সুযোগ নেই। ৭ মার্চ দেওয়া বন্ধুর ভাষণ সংবিধানের অংশ, স্বাধীনতার ঘোষণাও সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কেউ এর বিকৃতি করলে সেটা হবে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল। এর শাস্তি হবে সর্বোচ্চ। আমাদের সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, কে দেশের স্বাধীনতার ঘোষক। তারেকের কাছে প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তিনি কি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পড়ে দেখেছেন? তিনি বলেন, আইনসম্মতভাবে ১৯৭২ সালের ১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারি করেন। বিএনপিতে অনেক বিজ্ঞ ব্যক্তি আছেন। তাঁরা এখন এ বিষয়ে মুখ খুলছেন না, খুলতে পারবেনও না।
১৯৭৩ সালে করা ‘ফজলুল হক বনাম রাষ্ট্র’ মামলার কথা উল্লেখ করে সুরঞ্জিত বলেন, ওই মামলার রায়ে তত্কালীন প্রধান বিচারপতি এএসএম সায়েম নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যা করেছেন, সেটাই আইনসম্মত।
সুরঞ্জিত দাবি করেন, স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর এটা শুধু তারেক রহমানের অর্বাচীনতা বা মূর্খতা—এসব কিছুই নয়। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই যা পড়িয়েছে, সে তাই বলছে। তিনি বলেন, যদি এটা মূর্খতাবশত হয়, তাহলে তারেকের বক্তব্যের জন্য ১৮ দলকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। যদি তারা ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার করে, তাহলে সরকার একভাবে দেখবে। অন্যথায় মামলার মাধ্যমে এর নিষ্পত্তি হবে, এটাই বাঙালি জাতির প্রত্যাশা। সংগঠনের উপদেষ্টা সাংসদ হাজি মো. সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন সাংসদ শিরিন নাঈম, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী প্রমুখ।