নিউজ ডেস্ক: প্রবীণদের সুখি ও সুন্দর জীবনের জন্য প্রবীণ উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রবীণদের স্বাস্থ্য সেবার পাশাপাশি এ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রবীণসেবা কর্মসূচি আরও গতিশীল করার কথাও জানান তিনি।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা জানান। বুধবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও পালিত হবে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য- থাকবো না কেউ পেছনে: গড়বো সমাজ একসনে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদও পৃথক বাণী দিয়েছেন। দিবসটি উপলক্ষে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ, জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, দেশের বিদ্যমান আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, অনেক প্রবীণ অবনতিশীল স্বাস্থ্য, আর্থিকদীনতা ও অবহেলায় বসবাস করছেন। যথাযোগ্য সম্মান ও মর্যাদার সাথে বসবাস করার প্রবীণদের যে মৌলিক ও মানবিক অধিকার রয়েছে তা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। প্রবীণদের এই অধিকার সংরক্ষণে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান অপরিহার্য বলে আমি মনে করি। বাণীতে প্রবীণদের সুস্বাস্থ্য ও স্বস্তিময় জীবন কামনা করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রবীণদের জন্য সুখি ও সুন্দর পৃথিবীর প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এ লক্ষে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবহেলিত প্রবীণদের কল্যাণে প্রবীণসেবা কর্মসূচি গতিশীল করার আহবান জানান প্রধানমন্ত্রী। দিবস উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রবীণদের কল্যাণে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রচেষ্টাসমূহ আরও বেগবান হবে। সবার সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে আমরা প্রবীণদের জন্য একটি সুখি ও সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে পারব- এ প্রত্যাশা করছি।
বাণীতে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরাবিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সংগঠনের সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী। বাণীতে শেখ হাসিনা আরও বলেন, প্রবীণ জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার একটি সংবেদনশীল ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। কর্মময় জীবনে নিজ নিজ পরিবার, সমাজ ও দেশ গঠনে তারা অত্যন্ত নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে কাজ করেছেন। আজকের এই সমাজ বিনির্মাণে তাদের ভূমিকাই মুখ্য। তাই জীবনসায়াহ্নে মর্যাদার সাথে তাদের পরিচর্যা ও কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা রাষ্ট্র, পরিবার তথা সমাজের অবশ্য কর্তব্য।