শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: সিলেট নগরীর জল্লারপাড়ের জল্লা উদ্ধারে নেমেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন। একইসাথে জল্লা’র সাথে সংযুক্ত হয়ে বহমান খালের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনাও উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু করা হয়।
অভিযানকালে সিটি কাউন্সিলর সিকন্দর আলী, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, সচিব লুতফুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্টেট মো: শরীফুজ্জামান, চীফ কনজারভেন্সী অফিসার হানিফুর রহমানসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার অভিযানকালে জিন্দাবাজার থেকে আদালত পাড়ার পেছনের দিকে বহমান খালের উপরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। খালের জায়গায় নির্মিত একটি রেস্টুরেন্টের বর্ধিত অংশ এবং একটি কলোনীর বর্ধিত অংশ সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ভেঙে ফেলা হয়। অভিযান চলাকালে আগামী শনিবারের মধ্যে এই খাল দুটির দুই পাশের জল্লারপাড় অংশের উপর নির্মিত অবৈধ স্থাপনা নিজ উদ্যোগে ভেঙে ফেলার কথা জানান সংশ্লিস্টরা।
শনিবারের মধ্যে ভেঙে ফেলা না হলে সিটি কর্পোরেশন নিজ উদ্যোগে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবে বলে জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ছড়া ও খালের উপর অবৈধ স্থাপনার ব্যাপারে কোন ছাড় দেওয়া হবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির অবৈধ স্থাপনা ছড়া ও খালের উপর পাওয়া যাবে তা ভেঙে ফেলা হবে।
মেয়র জানান, দুইদিন আগে এলাকাবাসীর অনুরোধে তিনি জল্লারপাড় মহল্লা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে এলাকাবাসী জলাবদ্ধতা নিরসনের স্বার্থে জল্লারপাড়ের ‘জল্লা’ ও দুটি খাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার জন্য তাকে অনুরোধ জানান। এরই প্রেক্ষিতে এই অভিযান শুরু হয়েছে-জানান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশল শাখা জানায়, জল্লারপাড়ের জল্লা এবং জল্লার সাথে যুক্ত খাল উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হলে নগরীর হাওয়াপাড়া, তাতীপাড়া, পুরানলেন, জিন্দাবাজার, দাড়িয়াপাড়া, আদালত পাড়া, জল্লারপাড় এলাকাসহ আশেপাশের এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। জল্লারপাড়ের জল্লা’য় এসে পৃথকভাবে দুটি খাল যুক্ত হয়েছে।
একটি খাল হাওয়াপাড়া-তাতীপাড়া-জিন্দাবাজার কোর্টের পেছনের দিক হয়ে জল্লারপাড়ের জল্লা’য় যুক্ত হয়ে পরবর্তীতে তালতলার বলরামের খাল হয়ে কাজিরবাজার গিয়ে সুরমা নদীর সাথে মিশেছে। অপর খালটি দাড়িয়াপাড়া থেকে জল্লারপাড়ে এসে জল্লারপাড়ের জল্লা’য় যুক্ত হয়েছে।