শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: আপিলের রায় পাওয়ার পর তা পর্যালোচনার আবেদন এবং সেই আবেদনের নিষ্পত্তির পর মোহাম্মদ কামারুজ্জামান রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান বলে তার আইনজীবী জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষ বলে আসছে, আপিল বিভাগের রায় পেলেই ট্রাইব্যুনাল ফাঁসির আসামি কামারুজ্জামানের মৃত্যু পরোয়ানা জারি করবে। আর রায়ের বিষয়টি জানানোর পর প্রাণভিক্ষা চাওয়ার জন্য তিনি সাত দিন সময় পাবেন। রিভিউয়ে আপিল বিভাগ ‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবে’ বলেও আশা প্রকাশ করেন শিশির মনির, যদিও আসামিপক্ষের এ সুযোগ প্রাপ্য নয় বলে রাষ্ট্রপক্ষ বলে আসছে।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৩ সালের ৯ মে দেওয়া রায়ে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করলে গত ৩ নভেম্বর আপিল বিভাগের চূড়ান্ত রায়েও তার মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।
কামারুজ্জামানের আইনজীবী শিশির মনির বলেন, আমরা বলতে চাই, আইনমন্ত্রীর এই ব্যাখ্যা বেআইনি। আইনের মানুষ হয়ে তিনি ওই বিধির ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। এই সময় গণনা শুরু হবে মৃত্যু পরোয়ানা পাওয়ার পর। আমরা মনে করি, আইনমন্ত্রী মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়েছেন। পুরনো জেল কোড অনুসারে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার সময়সীমা সাত দিন এবং নতুন কারাবিধি অনুসারে তা ১৫ দিন বলেও দাবি করেন কামারুজ্জামানের আইনজীবী। শিশির মনির বলেন, উনি (কামারুজ্জামান) আমাদের স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, রিভিউ নিষ্পত্তির আগে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমার কোনো স্টেপ উনি গ্রহণ করবেন না।