ডেস্ক নিউজ:প্রধানমন্ত্রী ভগ্নী হওয়ার সুবাদে শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যে একজন শক্তিশালী ও ক্ষমতাবান নেতা। শেখ রেহানার পর এ মুহুর্তে যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সর্বচ্চো ক্ষমতাবান সাবেক যুবলীগ ও বর্তমান আওয়ামিলীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।
বালাগঞ্জের নিজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবেই আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে হাতেখড়ি তার। দেশে থাকতে সেই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বা সাধারন সম্পাদক পদে যেতে বহু চেষ্টা তদবির করেও সফলকাম হতে পারেননি তিনি। নব্বইয়ের দশকে এলেন লন্ডনে। রেষ্টুরেন্টে কিচেন পোর্টার হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি সক্রিয় হন আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে। সুচতুর আনোয়ারের অর্থ-কড়ি না থাকলেও মানুষকে আকৃষ্ট করার মতো কথা বলবার যোগ্যতা ছিল তার সবসময়ই।
চতুরতা,বাকপটুতা আর ম্যানেজ করার যোগ্যতাকে পুজি করেই যুক্তরাজ্যের যুবলীগে এক সময় শীর্ষ নেতায় আভিভুর্ত হন আনোয়ার। এই সময়ে দীর্ঘ চেষ্টার পর তিনি শেখ মুজিবের লন্ডনে বসবাসরত ছোট মেয়ে শেখ রেহানার সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম হন। এর বদৌলতে ওয়ান ইলেভেনের পর আওয়ামীলীগ সরকারে আসার পর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি যুক্তরাজ্যে আওয়ামীলীগে একসময় ‘কালো পাঠা হিসেবে পরিচিত আনোয়ারকে। শেখ রেহানার আশিবার্দে মনোনীত হন বাংলাদেশ আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান। বিভিন্ন লোকজনকে ব্যাংকে চাকরী,লোন পাইয়ে দেবার নামে কমিশন বানিজ্য করেই বিপুল অর্থ আয় করেন তিনি।
নিজে গাড়ী না চালানো জানলেও কিনেন বিলাসবহুল ল্যান্ড রোভার। একসময়ে নেতা-কর্মীদের কাছ থেকে চেয়ে চিন্তে খাওয়া আনোয়ার এখন নিজের গাড়ী চালকের বেতন দেন সপ্তাহে দুইশ পঞ্চাশ পাউন্ড। একসময় নিজে কাউন্সিলের ঘরের বাসিন্দা হলেও এখন লন্ডনেই কেবল ৫টি ঘরের মালিক তিনি। নামে-বেনামে কেনা এসব ঘরের এক একটির মুল্য ৪ কোটি টাকার বেশি। একই সময়ে দেশেও বিশাল সম্পদের মালিক বনে যান আনোয়ার। বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রজেক্ট পাশ করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সিলেট নগরীতে বিভিন্ন জমি ও বাড়ি দখল বেদখলেও জড়িয়ে পড়ে আনোয়ারুজ্জামানের নাম।
অতি সম্প্রতি চট্রগাম সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি শত কোটি টাকার একটি টেন্ডারে আনোয়ার ভাগ নেন দশ কোটি টাকা। শেখ রেহানার নাম ভাঙ্গিয়ে এ টাকার ভাগ নেন তিনি। ইসলামী ব্যাংকের চট্রগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ শাখার একটি একাউন্ট ও বেসিক ব্যাংকের আন্দরকিল্লা শাখার একটি একাউন্টের মাধ্যমে এ টাকার লেনদেন ঘটে বলে আমাদের কাছে থাকা প্রমান পত্রে উল্লেখ রয়েছে।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিবার লন্ডন সফরের সময় ট্রান্সপোর্ট কমিউনিকেশন ব্যায়ের নামে বাংলাদেশ সরকারের কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আনোয়ার। কয়েকটি গাড়ী ভাড়া করার নাম করে ১৬০ থেকে ২০০ হাজার পাউন্ডের বিল করে সে অর্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে তুলে নিচ্ছে তারা। যার মূল অংশটা যাচ্ছে শেখ রেহানার কাছে। শেখ রেহানার একাধিক বিলাসবহুল বাড়ির সংবাদ আমাদের কাছে আছে, যা পরবর্তিতে বিস্তারিতভাবে আমরা প্রচার করব।
অতি সস্প্রতি বেশ কয়েকটি রেষ্টুরেন্টের আংশিক ও সম্পুর্ন মালিকানা কিনে নেন আনোয়ার। এর মধ্যে হাই গেটে অবস্থিত কেপটন রেষ্টুরেন্টটির মুল্য হাফ মিলিয়ন পাউন্ডের চেয়েও বেশি। আনোয়ার অবশ্য নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে জানান, এসব অর্থ তার নিজের নয়। এগুলো ছোট আপার (শেখ রেহানার) টাকা।
আনোয়ারুজ্জামানের লাম্পট্য নিয়ে নানা ঘটনার কুখ্যাতি রয়েছে কমিউনিটিতে। দলের সুন্দরী মহিলা কর্মীদের নেতা বানানোর নাম করে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের একাধিক ঘটনার প্রমানাদি রয়েছে আমাদের কাছে। এছাড়া ঢাকার একটি অভিজাত হোটেলে দামী কলগার্লদের নিয়ে ফুর্তি করার একটি ফুটেজ ও রয়েছে।
সুত্র: বিডি নিউজ ৭ ও সিলেটের আলাপ