শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২৩

প্রসঙ্গ এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমান: অলৌকিকভাবে রক্ষা

প্রসঙ্গ এয়ার এশিয়ার নিখোঁজ বিমান: অলৌকিকভাবে রক্ষা

শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: ঘটনা যা ঘটেছে, অনেকেই বলছেন এটা অলৌকিক ঘটনা। এয়ার এশিয়ার যে ইন্দোনেশীয় বিমানটি নিখোঁজ হয়েছে, এতে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। তারা ১০ জন একই পরিবারের সদস্য। কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় ফ্লাইট ধরা হলো না। এ সময় এটা তাদের জন্য বিড়ম্বনা হলেও তা সৌভাগ্য বয়ে আনে। নিখোঁজ হওয়ার দুর্ভাগ্য থেকে রক্ষা পায় তারা।

সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে জানানো হয়, ১৬২ আরোহী নিয়ে গতকাল থেকে নিখোঁজ এয়ার এশিয়ার বিমানটি এখন সাগরতলে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান বামবাং সোইলিস্তয়ো আজ এ কথা জানান।

ভাগ্যের জোরে রক্ষা পাওয়া এজন ক্রিস্টিয়ানাওয়াতির (৩৬) ভাষ্য, ১০ জনের মধ্যে তাঁর নিজের পরিবার, তাঁর মা ও ছোট ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরাও ছিল। এ ১০ জনের মধ্যে ছয়জন প্রাপ্তবয়স্ক ও চার শিশু। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তাঁদের সিঙ্গাপুর যাওয়ার কথা ছিল। তবে বিমানের সময়সূচি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় তাঁরা সময়মতো পৌঁছাতে পারেননি। তাঁদের বিমানটি সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ইন্দোনেশিয়া ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে।

কিন্তু বিমান উড্ডয়নের সময় দুই ঘণ্টা এগিয়ে ভোর ৫টা ৩০ মিনিট করা হয়। বিষয়টি জানানোর জন্য এয়ার এশিয়া কর্তৃপক্ষ তাঁদের ফোন ও ই-মেইল করে। তবে তাঁরা তা সময়মতো জানতে পারেননি। গতকাল সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিমানবন্দরে গিয়ে যখন জানতে পারেন যে বিমানটি চলে গেছে, তখন তাঁরা ক্ষিপ্ত হন। আরেকটি বিমানের টিকিট ইস্যু করার সময় তাঁরা শোনেন, ওই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।

ক্রিস্টিয়ানাওয়াতি বলেন, সঙ্গে সঙ্গে আমরা আমাদের যাত্রা বাতিল করি। খবরটি শুনে মর্মাহত হই এবং কেঁদে ফেলি। আমি ও আমার পরিবার যে বিমানটি ধরতে পারলাম না, এটি সম্ভবত ঈশ্বরেরই পরিকল্পনা ছিল। এর আড়ালে ছিল আশীর্বাদ।ক্রিস্টিয়ানাওয়াতি জানান, বছরে দুবার তাঁরা সিঙ্গাপুরে যান। প্রতিবারই তাঁরা এয়ার এশিয়ার বিমানে যাত্রা করতেন। এ ঘটনার পর এয়ার এশিয়ার ওপর তাঁদের আস্থা হোঁচট খেয়েছে।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025