বিনোদন ডেস্ক: একদিকে ছবি সুপারহিট, অন্যদিকে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। এই জটিলতায় নতুন সংযোজন, সেন্সর বোর্ডের এক সদস্যের বিতর্কিত উক্তি। সেই উক্তির জেরে স্পষ্ট এই গণ্ডগোল আরও বহু দূর পর্যন্ত গড়াবে। কী বলেছেন তিনি?
পিকে’র বেশ কিছু দৃশ্য নিয়ে তার নাকি আপত্তি ছিল। কিন্ত্ত তার কথায় গুরুত্ব না দিয়েই নাকি ছবিটিকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। আর এ সবের মধ্যেই সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন’র কাছ কীভাবে পিকে ছাড়পত্র পেল, তা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন শঙ্করাচার্য স্বরূপানন্দন সরস্বতী। সেন্সর বোর্ডের কয়েক জন সদস্য সোমবার জ্যোতেশ্বরে স্বরূপানন্দন সরস্বতীর আশ্রমে যান। আর সেখান থেকেই এই জটিলতার সূত্রপাত।
বোর্ডের সদস্য সতীশ কল্যানকর জানান, তিনি নিজের আপত্তির কথা জোরের সঙ্গে জানিয়েছিলেন বাকি সদস্যদের। কিন্ত্ত বোর্জের সিইও তার কথায় নাকি কোনও গুরুত্বই দেননি। রীতিমতো জোরের সঙ্গেই তিনি নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন বলেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তার আপত্তি তোলা দৃশ্যগুলো ছবিতে থেকেই গিয়েছে। কল্যানকরের মতে, ছবিতে এমন বহু দৃশ্যই রয়েছে, বহু সংলাপ রয়েছে যা আইনত ছবিতে থাকার কথা নয়। কারণ সেই সব দৃশ্যগুলো ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেয়।
ভারতে তখনই কোনও ছবি দেখানো যেতে পারে, যখন সেই ছবিটিকে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন ছাড়পত্র দেয়। স্বরূপানন্দন আগেই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, বোর্ডের বেশ কিছু সদস্য ‘পিকে’র ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। তাদের আপত্তিকে যখন গুরুত্ব দেয়া হয় না, তখন তারা তথ্যসম্প্রচার দফতরকে চিঠি দিয়ে নিজেদের মতামত জানান। এমনকী যারা আপত্তি করেছিলেন, তাদের নাম ওই সার্টিফিকেট থেকে বাদ দেয়া হয় বলেও জানিয়েছেন স্বরূপানন্দন।
আর সেই কারণেই তার দাবি, অবিলম্বে সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করিয়ে দেখা হোক, এই ঘটনার পেছনে কোন উদ্দেশ্য আছে। তার মতে ‘ভোট-ব্যাংক’কে চাঙ্গা রাখতে বহু রাজ্য কর ছাড় দিয়েছে এই ছবিকে। এমনকী পাকিস্তানের অর্থও কাজ করছে এই ছবির পিছনে বলেও তার সন্দেহ।