শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: দেশীয় চিনিশিল্প রক্ষায় বিদেশ থেকে চিনি আমদানি নিরুৎসাহিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বিদেশ থেকে চিনি আমদানি নিরুৎসাহিত করতে অপরিশোধিত চিনি ও সাদা (পরিশোধিত) চিনির আমদানি শুল্ক বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানির কোটা নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। এ বিষয়ে শিল্প, বাণিজ্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত বছর এপ্রিলে দুই ধরনের চিনি আমদানিতে শুল্কের পরিমাণ এক দফা বাড়ানো হয়। সে সময় প্রতি মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনি আমদানিতে চার হাজার টাকা এবং অপরিশোধিত চিনিতে দুই হাজার টাকা শুল্ক বেঁধে দেওয়া হয়।
শিল্পমন্ত্রী গত বছর সংসদকে জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে বছরে ১৪ লাখ মেট্রিক টন চিনি লাগে। এর সাত থেকে আট শতাংশ দেশের ১৫টি চিনিকল উৎপাদন করে, বাকি চিনি আমদানি করতে হয়। এরপরও গত ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সরকারের ১৫টি চিনিকলে ১ লাখ ৪৫ হাজার ২৫৭ দশমিক ৫৫ মেট্রিক টন অবিক্রিত চিনি মজুদ ছিল বলে মঙ্গলবার তিনি সংসদকে জানান।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি- ২১ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন মজুদ আছে নাটোরের নর্থবেঙ্গল চিনিকলে। এছাড়া দর্শনার কেরু কোম্পানিতে ১৪ হাজার ৬৯১, ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলে ১৪ হাজার ৮৩১, ঠাকুরগাঁও চিনিকলে ১২ হাজার ৭৩৮, রাজশাহী চিনিকলে ১১ হাজার ১৯১, নাটোর চিনিকলে ১১ হাজার ১৩৩ মেট্রিক টন চিনি মজুদ রয়েছে।
এই বিপুল পরিমাণ চিনি অবিক্রিত রেখেই চলতি বছরের মাড়াই মওসুম শুরু করে চিনিকলগুলো। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য অনুযায়ী, আমদানি করা চিনির চেয়ে দামে বেশি হওয়ায় দেশি কলে উৎপাদিত চিনির একটি বড় অংশ অবিক্রিতই পড়ে থাকে।