বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:০৯

সেইফ এক্সিটের শর্তে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সেইফ এক্সিটের শর্তে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক: দেশ ছাড়ার সুযোগ, পুত্র জয় ও বোন রেহানার নিরাপত্তাসহ নিজের ঘনিষ্ঠ ২১ জনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা পেলে ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এ জন্য আরো কয়েকটি শর্তও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

একাধিক গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, দেশের চলমান এই বিপর্যস্থ পরিস্থিতিতে দ্রুত ক্ষমতা ছেড়ে দেবার জন্য সরকারের সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকতা ও এসএসএফ এখন প্রধানমন্ত্রীর উপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করেছে। এছাড়াও, বর্তমান সরকারের উপর চাপ রয়েছে আমেরিকা ব্রিটেনসহ ইউরোপিয় ইউনিয়নের।

ইউরোপিয় ইউনিয়নের একটি দেশ গত ৯ মাস ধরে বাংলাদেশে রাষ্ট্রদুত নিয়োগ দিচ্ছে না। এ নিয়ে কুটনৈতিক সম্পর্কও সরকারের সাথে চরমে উঠেছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের এরকম খবর জানিয়েছে কূটনৈতিক সূত্রগুলো। সূত্র আরও জানায়, আমেরিকান নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে যে নারী কুটনীতিককে নিয়োগ দিয়েছে আমেরিকা, তিনিও দায়িত্ব পালন শুরুর আগেই সরকারের সাথে বিরোধী দলের সাথে চুড়ান্ত সংলাপ বাস্তবায়নের মিশন নিয়ে কাজ করছেন।

আর শেষ সময়ে এসে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে রহস্যজনকভাবে নীরব হয়ে পড়েছে ভারত সরকারও। এ অবস্থায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় দূতাবাস সূত্রগুলো থেকে একরম আভাসই পাওয়া গেছে।

শেখ হাসিনার এক্সিট নিয়ে সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথা বলেন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা। এ সময় সামরিক কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, দেশের এমন পরিস্থিতিতে জোর করে প্রশাসন দিয়ে সরকার টিকিয়ে রাখতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় প্রশাসনিক ক্ষমতা বেশিদিন টিকিয়ে রাখা অসম্ভব।

এদিকে, এরশাদও জাতীয় পার্টিকে সংসদে বিরোধীদল এবং মন্ত্রীদের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারের দায়িত্বশীল একটি সুত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানার পর এরশাদকে দুদিন আগে ডেকে কথাও বলেন।

কৌশলী এরশাদ এরই মধ্যে বিএনপির জোটে থাকা জাতীয় পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান কাজী জাফর আহমেদের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে সব আলাপ সম্পন্ন করেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় যাবার পর তার মামলাগুলোর ব্যাপারে সুরাহার ব্যাপারে নিশ্চয়তা চেয়েছেন এরশাদ। শেষ বয়সে আর জেলে যেতে চান না এরশাদ বলে জানান এরশাদের একজন প্রভাবশালী উপদেষ্টা।

সামরিক বাহিনীর এই ইচ্ছার বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক পাড়ায়ও গুঞ্জন চলছে। সামরিক বাহিনীর কাছে শেখ হাসিনা কয়েকটি শর্ত দিয়েছে তারমধ্যে তাদের পরিবারের নিরাপত্তাই প্রধান শর্ত। বিগত ৬ বছরে যে পরিমাণ মানুষ হত্যা ও দু:শাসন চালিয়েছে তাতে ক্ষমতা ছাড়া মাত্রই গণরোষে শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও দলের নেতাকর্মীদের টিকিটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে মনে করছেন স্বঘোষিত সরকারটি। আর সে কারণে জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার বিনিময়ে ক্ষমতা ছেড়ে দেবার পক্ষে রাজি হয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ২০০৮ সালেও ততকালীন সেনাপ্রধান মঈনের সাথে আঁতাত করে ক্ষমতায় বসেছিল। তবে এবার সমঝোতা করছে ক্ষমতায় বসার জন্য নয় জীবন ও দূর্নীতি করে কামানো অর্থ ও সম্পদের রক্ষার জন্য। তবে সময়েই বলে দিবে শেষ বিচারে জনগণের রোষ থেকে আদৌও রক্ষা পাবে কীনা শেখ হাসিনা।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025