শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: আসাদুজ্জামান খান। ফাইল ছবি স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। এ পরোয়ানা আইনের প্রক্রিয়ায় এগুচ্ছে। প্রক্রিয়া শেষে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থানায় যাবে। আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর–রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ডিআরইউ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। ডিআরইউর সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অতি সম্প্রতি সাংবাদিক দম্পতি সাগর–রুনি হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হবে। এ বিষয়ে হাইকোর্টেরও নির্দেশনা রয়েছে।
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়ের হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনায় ফারাবী ছাড়া আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে ধরতে পারলেই মামলার সুরাহা হবে। তিনি বলেন, পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে। খুনিরা বেশ কয়েকজন ছিল। মামলাটি মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে। মামলার তদন্তে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্তকারী সংস্থা এফবিআই (ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)।
ডিবি পুলিশ পারছে না, তাই কি এফবিআইয়ের সহায়তা নেওয়া হচ্ছে? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। সে কারণে এ মামলা তদন্তে তাদের আগ্রহ বেশি। এ কারণে তারা ডিবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
গোপীবাগে ছয় খুনের ঘটনা এবং নুরুল ইসলাম ফারুকীর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ডিবি পুলিশের তদন্তের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফারুকী হত্যা মামলায় খুনিরা শনাক্ত হয়েছে। তারা দ্রুত স্থান পরিবর্তন করার কারণে ধরা পড়ছে না। খুনিরা ধরা পড়লেই হত্যার কারণ উদঘাটিত হবে। তবে ছয় খুনের বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষের ওপর পেট্রলবোমা ও ককটেল ছোড়া হচ্ছে। মানুষ এসব চায় না। মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে এদেরকে হাতেনাতে ধরিয়ে পুলিশে দিচ্ছে। এ আন্দোলনে মানুষের সম্পৃক্ততা নেই। অচিরেই এগুলো বন্ধ হবে।
যেসব পুলিশ সাধারণ মানুষকে আটক করে টাকা নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পেট্রলবোমা ও ককটেল ছোড়ার সময় পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করলে তাদের সঙ্গে আশপাশে থাকা আরও কয়েকজনকেও ধরা হচ্ছে। পরে সম্পৃক্ততা না পেলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে যেসব পুলিশ টাকা নিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গণমাধ্যমের কর্মীদের আটকের ক্ষেত্রে পুলিশ যাতে সংযত হয়ে আচরণ করে, সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর কাছে সহযোগিতা চাইলে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের কর্মীরা সত্যের পেছনে ঘোরাঘুরি করেন। তাঁদের যাতে কোনো হয়রানি না হয় সে বিষয়টি তিনি দেখবেন। ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউর সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা।