আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: আয়ারল্যান্ডে শত শত মানুষ রেইনবো (রংধনু) পতাকা বা ছাতা নাড়াচ্ছেন। তারা জানেন, তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। তারা সমকামী। সমলিঙ্গের মানুষকে বিয়ে করতে আইনি বাধাটা পেরোতে অধীর আগ্রহে প্রতীক্ষায় রয়েছেন তারা। আয়ারল্যান্ডে সম্প্রতি সমকামী বিয়ে বৈধ করার পক্ষে-বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হয় ভোট।
বিয়ের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে এক লেসবিয়ান দম্পতি তো এরই মধ্যে তাদের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। এরই মধ্যে বহু সমকামী তাদের পছন্দের জীবনসঙ্গীকে বেছে নিয়েছেন। অনেকে তো এক ধাপ এগিয়ে বিয়ের প্রস্তুতিটাও সেরে রাখছেন। এদিকে এখন পর্যন্ত ভোটের চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হয়নি।
এ অবস্থায় সমকামী বিয়ের পক্ষ ও বিপক্ষ শিবিরের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিত্বরা বলছেন, মূলত ক্যাথলিক খৃষ্টান ধর্মাবলম্বী অধ্যুষিত আয়ারল্যান্ড বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়ার পথেই রয়েছে। মেমোরিজ ব্রাইডাল বুটিক হাউজের বাইরে ডাবলিনের পার্লামেন্ট স্ট্রিটে নিয়ামহ হেরিটি (৩২) ও আয়োফে ডোয়েল (৩৪) ছবি তুলছিলেন। তাদের পরিহিত টি-শার্টে লেখা ‘ইয়েস’। একটি দোকানের ডিসপ্লেতে রাখা একটি সাদা ওয়েডিং পোশাকের সামনে তারা ছবি তুলছিলেন। তাদের সম্পর্কটা ৪ বছরের। এভাবেই বহু যুগল জড়ো হয়েছিলেন ডাবলিনের রাস্তায়।
এদিকে বহু তরুণ যারা বিদেশে কাজের জন্য গিয়েছিলেন, তারা ভোটে অংশ নিতে আয়ারল্যান্ডে ফিরেছিলেন। তাদের অনেকেই নিজেদের সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করেন। ডোয়েল বলছিলেন, গত সপ্তাহে আমরা বিয়ের পোশাক কিনেছি এবং এ সপ্তাহে আমাদের বিয়ে করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, দারুণ দুটি আবেগময় সপ্তাহ কাটছে। তার সঙ্গী হেরিটি বলেন, ২ বছর আগে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে আংটি বদল করেছি ।
আমরা আনন্দিতে যে, আয়ারল্যান্ড আমাদের দু’জনকে একত্রিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। তারা আমাদের গর্বিত করেছে। আগামী ১৭ই ডিসেম্বর তাদের বিয়ের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু, সে সময়ের মধ্যে যদি আইনটি পাস না হয়, সেক্ষেত্রে তারা ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করবেন।