রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫২

শত শত বাংলাদেশী ভূয়া সার্টিফিকেটে স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাসে

শত শত বাংলাদেশী ভূয়া সার্টিফিকেটে স্টুডেন্ট ভিসায় সাইপ্রাসে

মোহাম্মেদ শাহিদ মিয়া: ২০০৩ সালে সাইপ্রাসে স্টুডেন্ট ভিসায় আসা তরুন যুবক হাসান। আয়ারলেন্ডে লিমারিক শহরে বসবাসকারী আরেক সহযোগী আক্তার, যে ১৪ বছর আগে সাইপ্রাসে এসেছি স্টুডেন্ট ভিসায়। এ আক্তার সাহেবকে সাইপ্রাসে আমার গত সফেের সামান্য সাহায্য করেছিলাম সাইপ্রাস থেকে আয়ারল্যান্ডে ইউরোপিয়ান ফামেলী ভিসার আবেদন সংক্রান্ত ব্যাপারে। তার এ ভিসার আবেদন সফল হওয়ায় তিনি দীর্ঘ ১৪ বছর

পর সম্প্রতি সাইপ্রাস থেকে আয়ারল্যান্ডে বসবাসের জন্য স্থানান্তরিত হন।আক্তার সাহেবের বন্ধু হাসান, যে আমার এবারের সফরে সাইপ্রাসের পাপোস এয়ারপোর্ট থেকে পিকআপ করল, নিজের ঘরে খাওয়ালো,হোটেল থেকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া আসা থেকে আরম্ভ করে সাইপ্রাস সম্পর্কে অনেক তথ্য সরবরাহ করল। তার কারণ হল আক্তার সাহেব আয়ারল্যান্ড থেকে হাসানকে শুধু মাত্র ফোন করে বলেছিলেন যে, আমাকে এয়ারপোর্ট থেকে পিকআপ করে সময় দেয়ার জন্য। হাসান সে দায়িত্বে বেশ তৎপর ছিল। আমার গত সফরে বাপ্পি সগর নামের আরেক জনের অনুরোধে আক্তার সাহেব আমাকে পিকাপ করতে এসেছিলেন সাইপ্রাসের পাপোস এয়াপোর্টে।

এরপর তিনি আমাকে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেরিয়েছেন। ২০০৬ সালের পর গত বছরের আগাষ্ট মাসে যখন সাইপাসে গিয়েছিলাম তখন পরোনো বন্ধু জাবেদ হোসাইন, এ বাপ্পি সাগরকে অনুরোধ জানিয়েছিল আমাকে পাপোস এয়ারপোর্ট থেকে পিকআপ করে হোটেলে পৌছিয়ে দিতে। বাপ্পি আমাকে হোটেলে নিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে তার বাসায়

নিয়ে গেল। অনুরোধ জানালো যতদিন সাইপ্রাসে থাকি ততদিন তার বাসায় থাকা ও খাওয়ার জন্য। বন্ধু জাবেদের মাধ্যমে এভাবে একে একে অনেকের সাথেই আমার সম্পর্ক বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর তাদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসে সাইপ্রাসে বসবাসকারী বঙ্গালীদের সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য। আমার এ প্রতিবেদনে সম্মানিত পাঠকরা জানতে পারবেন সাইপ্রাস ও সেখানে আসা তরুণ সমাজ সম্পর্কে কিছু নির্মম কাহিনী।

ইউরোপিয় ইউনিয়ন ভুক্ত ২৮ টি দেশের মধ্যে শীর্ষ ১৫ দেশের তালিকায় সাইপ্রাসের অবস্থান। প্রাকৃতিক সৌদর্যের এ দেশের জনসংখ্যা প্রায় ১.১৪ মিলিয়ন। বৃটিশ পর্যটকদের কাছে সাইপ্রাস সবচেয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে। প্রতি বছর সামার ভ্যাকেশনে এখানে প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ পর্যটক ভ্রমন করতে আসে। হলিডে স্পট হিসেবে সাইপ্রাস বিশ্বের বেশ সুনামধন্য স্থান। সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোশিয়া ছাড়া প্রতিটি শহরেরই রয়েছে সমুদ্র সৈকত। আর ঘর বাড়ীগুলো

এমনভাবে নির্মান করা হয়েছে যা সাইপ্রাসের প্রতি অনেকেরই মন আকৃষ্ট হওয়ার মতো। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বাড়ী ঘর, রাস্তাঘাট ও প্রকৃতিক পরিবেশ এতইভালো যা প্রশংসার দাবী রাখে। ২০০৪ সালে সাইপ্রাস ইউরোপিয় কাউন্সিলে সম্পূর্ন সদস্যপদ লাভ করতে সক্ষম হয়। প্রায় ৯২৫০ বর্গ কিলোমিটারের এ দেশটি ছিল বৃটিশ কলোনী। ২০০৪ সালে ইউরোপের সদস্যপদ লাভ করাার পূর্বেও এ দেশটি ইউরোপের ধনী রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে একটি শীর্ষ ধনী রাষ্ট্র ছিল। বর্তমানে দেশেটি আর্থিক সংকটের মধ্যে রয়েছে।

সাইপ্রাসে বাংলাদেশীদের আগমন শুরু হয় প্রায় ১ দশক আগে। তখন থেকেই স্টুডেন্ট ভিসায় এ দেশে আসত বাংলাদেশীরা। তবে তার পরিমান ছিল খুবই নগন্য। স্টুডেন্টদের কাজের অনুমতি না থাকলেও তখন ইমিগ্রেশনের ধরপাকর তেমন না থাকায় প্রায় সবাই পার্ট টাইম-ফুলটাইম কাজ করে ভালেই কামাতেন। ১৯৯৬ থেকে ধীরে ধীরে স্টুডেন্টদের আগমন ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। একই সাথে দেশের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থারও পরিবর্তন হতে থাকে।

এরপরও দেশের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকায় ইমিগ্রেশনের ধরপাকর থাকা সত্তে¡ও অনেকেই ভাল কামিয়েছেন। আবার অনেকেই ইংল্যান্ড, আমেরিকা, কানাডা সহ ইউরোপের অন্যান্য দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এদেশ থেকে লেখাপড়া করে দেশে বিদেশে অনেকেই ভালো অবস্থানে রয়েছেন।

কিন্তু ২০০৪ সালে সাইপ্রাস ইউরোপিয়ান কাউন্সিলে আসার পর এদেশের ইমিগ্রেশন ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। অবৈধভাবে বসবাসকারীদেরকে সাইপ্রাসে তাদের বসবাস করার অধিকার প্রমান করতে পারলে রেসিডেন্স পার্মিট দেয়া হবে বলে সরকার ঘোষণা প্রদান করে। এতে প্রায় সকল অবৈধ বাসবাসকারী এমনকি বৈধ স্টুডেন্টরাও সাইপ্রাসে এসাইলেম সিকার হিসেবে আবেদন করে। এর দু‘ তিন বছর পর থেকেই শুরু হয় ইমিগ্রেশনের ধরপাকর।

সাইপ্রাস সরকার কর্মদাতাদের জন্য নতুন আইন করে যে, যারা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাহিরের লোকদের কাজের পার্মিশন না থাকাদের কাজ দিবেন তাদেরকে বড় অংকের জরিমানা প্রদান করতে হবে। তবে কিছু কিছু চতুর বাঙ্গালী ইউরোপিয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশের মেয়েদেরকে নানাভাবে ফটিয়ে বিয়ে করতে থাকে। যার প্রেক্ষিতে এসব বাঙ্গালীদের অনেকেই সাইপ্রাসে ইউরোপিয়ান ফ্যামেলী ভিসা নিয়ে থাকার অনুমতি পেয়ে যান। ২০১০ সালে থেকে একে একে সাইপ্রাসের সকল এসাইল্যাম সিকারদেরকে ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হয়। এভাবেই সাইপ্রাসে বাঙ্গালীদের আগম বন্ধ হয়ে যায়।

২০১১ সালে বিশ্ব মন্দার সাথে সাথে সাইপ্রাস ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হতে থাকে। এর পর শুরু হয় সাইপ্রাসের আর্থিক দূর্গতি। বাংলাদেশ থেকে ছাত্ররাও সাইপ্রাসে আসা বন্ধ হয়ে যায়। তখন থেকে বাংলাদেশ থেকে ছাত্ররাও সাইপ্রাসে আসা বন্ধ করে ফেলে। দালাল চক্রও বেশ নিরবতা পালন করছিল।সাইপ্রাসের অনেক ভালো কলেজ সমূহ আর্থিক সংকটে প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম ছিল।

২০১৪ সালের শেষের দিকে সাইপ্রাস তাদের দেশের আর্থিক উন্নয়নের ব্যাপারে ব্যাপক প্রচারণা শুরু করে। এবং কলেজ সমূহকে অর্থিকভাবে সচ্ছল করতে বিদেশী ছাত্রছাত্রী সাইপ্রাসে নিয়ে আসার জন্য ইমিগ্রেশন পলেসি সহজ করার ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেয়। এতে দালাল চক্র আবারো তৎপর হয়ে উঠে। সাইপ্রাস ইমিগ্রেশন, সাইপ্রাস থেকে সরাসরি স্টুডেন্ট ভিসা দেয়ার ঘোষনা প্রদান করে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সাইপ্রাস কনসোলেট এর মাধ্যমে এট্যাচটেড করিয়ে সাইপ্রাসের যেকোন কলেজের নির্ধারিত কোর্সের আবেদন করলেই প্রায় ৬ সপ্তাহের মধ্যে ভিসা কনফামেশন পাওয়া যায়। এ সুবাদে দালাল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত কনসোলেটকে দালাল চক্র হাত করে নেয় বলে বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশ। শুরু হয় তাদের অপতৎপরতা। নকলের স্বর্গরাজ্য হয়ে যায় সাইপ্রাস কনসোলেট অফিস। পরীক্ষা পাশের ভুয়া ছনদপত্র, পুলিশ ক্লেয়ারেন্স, মেডিক্যাল টেস্ট সহ সব কিছুই ভুয়া তৈরী করে কতিপয় দালাল চক্র অনেক নিরিহ লোকদেরকে নানা প্রলোভনে সাইপ্রাসে পাঠাতে আরম্ভ করে। ভিসা আবেদনের সাপোর্টিং ডকুমেন্টস এর সত্যাতা যাচাই বাচাইয়ের দ্বায়িত্ব ছিল বাংলাদেশে নিযুক্ত কনসোলেট জেনারেল জনাব সিহাব সাত্তারের।

কিন্তু তারই অফিস ঢাকার এবিসি হাউজ হয়ে যায় দালাল চক্রের স্বর্গরাজ্য। দালালরা বাংলাদেশ সরকারের ফরেন মিনিষ্ট্রির সত্যায়িত সহ সব কিছুই ভূয়া তৈরী করে কনসোলেটের কাছ থেকে সত্যায়িত করে ফেলে বলে বাংলাদেশ থেকে আমাদের বিশ্বস্ত সূত্র এ খবর সরবরাহ করে। এবং যার ফলে শত শত ছাত্র নামধরীরা সাইপ্রাসে আসতে সক্ষম হয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। যারা না বুঝে দলালদের খপ্পরে পড়ে স্টুডেন্ট ভিসায় কাজ করার উদ্দেশ্যে সাইপ্রাসে পাড়ি দিয়েছেন তাদের কাপালে কি ঘটছে সেটা জানার বিষয়। ব্যাপারটি সম্পর্কে জানতে সাইপ্রাসের বিভিন্ন শহরে বসবাসকারী বাঙ্গালী ছাত্রদের সাথে আলাপ করে তাদের বর্তমান অবস্থা জানতে পারি। যারাই ২০১৪ সাল থেকে সাইপ্রাসে উচ্চ শিক্ষা লাভের কথা বলে কাজ করতে এসেছেন তারা নির্মম অবস্থায় দিন পোহাচ্ছেন।

কারণ সাইপ্রাস ইউরোপের একটি ধনী রাষ্ট্র হলেও বর্তমানে সাইপ্রাস ব্যাপকভাবে আর্থিক সংকটে রয়েছে। তাদের দেশের লোকই বেকার অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে সেখানে বিদেশীরা কিভাবে কাজ পাবে সেইটাই প্রশ্ন। তার উপরে ইউরোয়ান ইউনিয়ন থেকে আসা লোকদের প্রেশার তো আছেই। সাইপ্রাসে স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়া যারা দেশ থেকে টাকা নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের অনেকেরই তা ফুরিয়ে যাচ্ছে। তারা তাদের চোখের সামনে অন্ধাকার ছাড়া আর কিছু নেই বলে জানিয়েছেন। অনেকেই ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা ব্যায় করে সাইপ্রাসে গেছেন কিন্তু সেখানে কাজের কোন সুযোগ না থাকায় তারা সর্বস্ব হারিয়েছেন বলে জানান।

সবচেয়ে হাসির বিষয় এটাই যে, যারা স্টুডেন্ট ভিসায় কাজ করার উদ্যেশ্যে সাইপাসে গেছেন তারা যাতে কাজ করতে না পারে তার জন্য সাইপ্রাসের কর্মদাতাদের জন্য সরকার আইন প্রনয়ন করেছে এটা যে, যারা ইউরোপিয় ইউনিয়নের বাহিরের লোকদেরকে কাজ দিবে তাদেকে ৫০০০ থেকে ১০০০০ ইউরো জরিমানা দিতে হবে।

এদিকে স্টুডেন্টদের রেসিডেন্স পার্মির্টে একাডেমিক সময়ে ২০ ঘন্টা ও সামার ভ্যকেশনে ৪০ ঘন্টা কাজের অনুমতি রয়েছে। এটা সরকারের চালাকি হলেও নিরিহ বাংলাদেশীরা তার স্বীকার। তবে যারা জেনুয়েন ছাত্র শুধুমাত্র লেখাপড়ার উদ্যেশ্যে সাইপ্রাসে গেছেন তাদের কাছ থেকে শুনা গেছে ভিন্ন কথা। তাদের কথা হলো ২, ৩ বছর এখানে পড়াশুনা করলে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে

যাওয়ার ভালো সুযোগ রয়েছে। তাদেরকে বেশ ভালোই দেখা গেল। জেনুয়েন সব কিছুই ভালো। তবে বিপাকে পড়েছেন নামধরী ছাত্ররা। সাইপ্রাসে টাকা দেওয়া ছাড়া নেওয়ার সুযোগ খুবই কম। তাই যারা এদেশে টাকা রুজগার করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পাড়ি জমিয়েছেন তাদেরকে দেশে ফিরে যাওয়া ছাড়া আর কোন উপায় নেই। তবে ভাগ্যের চাকা হয়তো অনেকেরই ঘুরে যেতে পারে যদি কেউ ইউরোপিয়ান মেয়েদের যেকোনভাবে ফটিয়ে বিয়ে করতে পারেন। এছাড়া হাট বাজারেও কিছু কিছু দেশের মেয়েরা বিক্রি হয়ে থাকে।

এদিকে, এ জুন সেমিস্টারে সাইপ্রাসে ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে যাওয়ার চেষ্টাকারী সকালকেই আটক করা হয়েছে। সাইপ্রাস মাইগ্রেশন বাংলাদেশ কনসোলেটের দু‘নম্বরীর সকল খবর ইতিমধ্যেই পেয়ে যাওয়ায় এবারের জুন সিমিস্টারের জন্য বাংলাদেশের প্রায় ৬০০ আবেদন বাতিল করেছে বলে জানা গেছে। এবং যাদেরকে বাতিল করা হয়েছে তারা আগামী ১০ বছরের মধ্যে সাইপ্রাসে যাওয়া জন্য কোন আবেদন করতে পারবেনা বলে জানা গেছে।

তবে জেনুয়েন কাগজ পত্র দিয়ে যারা সঠিক যোগ্যতার ভিত্তিতে সাইপ্রাসে আসতে চাইবে তাদের জন্য সব কিছুই সহজ থাকবে বলে সাইপ্রাস মাইগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে। তবে এ অবস্থার কোন পরিবর্তন শিগ্রই হবে কিনা তা জানা যায়নি। তাই সাইপ্রাসে স্টুডেন্ট ভিসায় কেউ আসার পূর্বে সব তথ্য জেনে আসা উচিত। লেখাপড়ার মান এতো উন্নত না হলেও সাইপ্রাসে জীবন যাত্রার মান বেশ উন্নত। এদেশে কোন ক্রাইম নেই বললেই চলে। এখানে ভালো মন্দ কলেজ ও ইউনিভসিটি রয়েছে। টিউশন ফিও তুলনা মূলকভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।

তবে পার্টটাইম কাজ করে অর্থ কামানোর সুযোগ নেই বললেই চলে। ৪ বছরের ডিগ্রি সম্পন্ন করতে টিউশন ফি ও থাকা খাওয়া সহ প্রায় ২০-২২ হাজার ইউরো খরচ করতে হবে। সাইপ্রাস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে আপনি সাপ্তাহিক জনসেবা, ৫৮এ মেইন রোড, ওল্ডহ্যাম, গ্রেটার ম্যানচেষ্টার, ইউকে এ ঠিকানায় ও ০০৪৪-১৬১৮৮৩২২০১ ফোন নম্বর বা জনসেবা গ্রপের লিগ্যান ডিপার্টমেন্টে যোগাযোগ করতে পারেন।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025