সাইফুর এম রেফুল ওসমানীনগর: সিলেটের ওসমানীনগরে নিজ শ্যালিকার গর্ভে দুলাভাইয়ের অবৈধ সন্তান অত:পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা ও লাশ গুমের অভিযোগ উঠেছে। গত ৭ জুন উপজেলার দয়ামির ইউনিয়নের আনসার ভিডিভির ইনচার্জ ফারুক মিয়া স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ জেলা পুলিশ সুপার বরাবরে প্রেরন করা হয়েছে। পূর্বে মানবাধিকার কমিশনের বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয় বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,উপজেলার দয়ামীর গ্রামের মৃত তৈয়ব উল্যার পুত্র আফছর আলী(৪০) দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা অসামাজিক কর্মকান্ড করে আসছেন। এনিয়ে এলাকায় একাধিকবার বৈঠকও হয়েছে। সম্প্রতি তিনি তাঁর ঘরে বসবাসকারী স্বামী পরিত্যাক্ত শ্যালিকার সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন। এক পর্যায়ে শ্যালিকা গর্ভবর্তী হয়ে পড়লে গত ২২ মে প্রথমে দয়ামীর এলাকায় প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে ঐ দিনই সিলেট শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর শ্যালিকার গর্ভে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। ২৩ মে কন্যা সন্তানসহ শ্যালিকাকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আসেন আফছর আলী। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হওয়ার পর আফছর আলী পারিবারিক ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করে সন্তানটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ গুম করে ফেলে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান ।
পরবর্তীতে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য এলাকাবাসি ফুঁসে উঠে গত ৪ জুন এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বিদের নিয়ে বৈঠক বসে। বৈঠকে আফছর আলীর অভিবাবকদের ডেকে এনে আফছর আলীকে আগামী বৈঠকে উপস্থিত করার জন্য বলা হয়। এখন আফছর আলী শ্যালিকাকে অন্যত্র রেখে গ্রামে এসে অবাধে চলাফেরা করছেন। এ নিয়ে এলাকায় সহিংসতার আশংঙ্কা বিরাজ করছে। সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এ ন্যাক্কারজনক ঘটনার নায়ক আফছর আলীর দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষে ফারুক মিয়া স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ পুলিশ সুপার বরাবরে প্রেরণ করা হয়েছে।
দয়ামির এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি সোনাওর আলীর মাষ্টার বলেন, বিষয়টি আমরা জানার পর বৈঠকে বসে আফছর আলীর আত্বীয়স্বজনকে ডেকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। ঘটনাটি ন্যাক্কার জনক সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে এর সটিক বিচার হওয়া উচিত। স্থানীয় ইউ/পি সদস্য ছাদ উল্যা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এ ধরনের ঘটনা সত্য হলেও অবশ্যই এর শাস্তি হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন উপজেলা শাখার সভাপতি এস এম সোহেল ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা অভিযুক্ত আফছর আলীর সাথে যোগাযোগ করলেও সে আমাদেরকে নিদিষ্ট কোন জবাব দেয়নি। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি ওসমানীনগর থানার ওসি সাহেবকে মৌখিক ভাবে অবগত করে রেখেছি।
এ ব্যাপারে আফছর আলীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে না পাওয়ায় তাঁর পুত্র মজিবুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন এ সব সড়যন্ত্র। ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মুরসালিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।