জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া: হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার একমাত্র যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা দু চাকার মটর সাইকেল। লাইসেন্স না থাকায় উপজেলার ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালকের এখন মাথায় হাত। বেকার সময় পাড় করছে সাড়ে ৩হাজার পরিশ্রমি মটর সাইকেল চালকগন।
গত বুধবার থেকেই মটর সাইকেল চলাচল বন্ধ থাকায় জেলা সদর ও বিভিন্ন স্থানে যাতায়ত কারী সাধরণ যাত্রীগন ভোগান্তির শিকার হয়েছে। সরকার মটর সাইকেলের লাইন্সেস করার জন্য নির্দেশ জারি করায় তারা এখন অসহায়। সরকারে নির্দেশ পালন করতে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। আর লাইসেন্স না থাকায় বেকার হয়ে পড়েছে মটর সাইলে চালকরা। কারন তাহিরপুর উপলোর ২-৩টি মটর সাইকেল ছাড়া সব মটর সাইকেলের লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স করার সামথ্যও নেই এই গরিব অসহায় মটর সাইকেল চালক দের। এই সব চালকরা তাদের শেষ সম্ভল জমি ও চাষাবাদের গরু বিক্রি করে, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন নিয়ে একটি মটর সাইকেল কিনেছে।
আর সেই মটর সাইকেল দিয়ে চলত তাদের অভাবের সংসার। যারা সারাদিন মাটর সাইকেলের চাকা গুরিয়ে ভাড়ায় জেলার বিভিন্ন স্থানে যাত্রী পরিবহনের মাধ্যমে সংসার ও ছেলে,মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ সহ দৈনিক প্রয়োজনীয় চাহিদা মিটিয়ে জীবনের চাকা চলছিল সুন্দর ভাবে তারা এখন হতাশায় ভুগছে আর সাধরন যাত্রীগন এখন অসহায়। তারা মাসে মাসে ঋন দেবে নাকি সরকারের চাপিয়ে দেওয়া লাইসেন্স করবে এই নিয়ে মহা সমস্যায় আছে মটর চালকরা।
তাহিরপুর উপজেলা সদর, বাদাঘাট, বড়ছড়া, আনোয়ারপুর সহ বিভিন্ন এলাকাঘুরে দেখা যায়-যে রাস্তা গুলো সারাক্ষন মটর সাইকেলের শব্দে মুখরিত ছিল সেই রাস্তায় বিরাজ করেছে একবারেই নিরাবতা লাইসেন্স না থাকায়। আর যাদের লাইসেন্স আছে তারা ভাড়া ভাড়িয়ে দ্বিগুন করে যাত্রী পরিবহন করছে।
যাত্রীরা জানান-কি করব ভাই মটর সাইকেলের লাইসেন্স নাই যাদের আছে তারা এই সুযোগে ভাড়া বেশী দাবী করছে, আমাদের ত অফিস আদালতে যেতে হবে ভাড়ার কথা চিন্তা করলে কি আর চলে,তবে মটর সাইকেলের লাইসেন্স করার অর্থ সামর্থ্যে ভিতরে আনা প্রয়োজন সরকারের। মটর সাইকেল চালকরা জানান- ভাই কি কইতাম সরকার সরকারের ইচ্ছা মত কাজ করে। আমরার কথা কি ভাবার দরকার আছে,আমরা এত টাকা কি করে দিমু,সারা দিন যে টাকা উপার্জন করি তা দিয়ে কোন রখমে সংসার আর ঋনের টাকা দিয়ে চলছিলাম এখন লাইসেন্সের টাকা কই পাই,কেডা দিব ?
তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী র্কমকর্তা ইকবাল হোসেন জানান-যাদের লাইসেন্স নেইর তাদের কে নির্ধারীত ফর্মে আবেদন করার কথা বলেছি,আবেদন করলে লাইসেন্স না করা পযর্ন্ত মটর সাইকেল চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে তবে লাইসেন্স অব্যশই করতে হবে।
তাহিরপুর থানার ওসি শহীদুল্লাহ বলেন-মটর সাইকেল চালকদের লাইসেন্স করার জন্য সরকার আদেশ দিয়েছে। আমরা সে নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছি যারা লাইসেন্স করবে না তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন-লাইসেন্স করা সবার ই প্রয়োজন তবে সরকার হাওর বেষ্টিত এবং অবহেলিত তাহিরপুরের অসচ্ছল মটর সাইকেল চালকদের কথা বিবেচনা করে লাইসেন্স করার যে পরিমান টাকা নির্ধারন করা হয়েছে তা বিভেচনা করার দাবী জানাই উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে।