নিউজ ডেস্ক: ওয়াজ-মাহফিল থেকে উপার্জিত অর্থ ব্যাক্তি করের আওতায় আনার প্রস্তাব করেছেন তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব এম এ আউয়াল। শনিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এমন প্রস্তাব রাখেন।
এম এ আউয়াল বলেন, ‘আমাদের দেশে ইসলাম ধর্মের দাওয়াতের নামে এক শ্রেণির কিছু আলেম অনেক টাকা ব্যক্তিখাতে উপার্জন করছেন। এই অর্থ করসীমার অনেক উপরে। ব্যাক্তিকরের ঊর্ধ্বে থাকা এসব আলেমদের করের আওতায় আনার নতুন প্রস্তাব আশা করছি।
কালো টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব রেখে আউয়াল বলেন, বছরে অসংখ্য পরিমাণ অর্থ বিদেশ পাচার হয়ে যাচ্ছে। এর অন্যতম কারণ অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগ না থাকা। ক্ষেত্রে আবাসন ও শেয়ারবাজারে অপ্রদর্শিত অর্থের বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়া উচিত। এতে করে কালো টাকা পাচার ঠেকানো যাবে। দেশের অর্থনীতির জন্য সুফল ডেকে আনবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী নতুন করে কাঁচা রাস্তা পাকা না করার প্রস্তাব করেছেন। বিষয়টি দুঃখজনক। গ্রামীণ বাংলার অর্থনীতি এখন রাস্তার ওপর নির্ভরশীল। এখনও অনেক রাস্তা কাঁচা রয়েছে। কাঁচা রাস্তা পাকা না হলে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা না হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
তিনি আরো বলেন, ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে বয়সের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রস্তাবিত ১০ হাজার টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব যুক্তিসঙ্গত নয়। মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা উচিত।
এম এ আউয়াল বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সংকুচিত মূল্যভিত্তিতে ১০ শতাংশ মূসক নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। আমাদের দেশে প্রতি বছর কয়েক লাখ শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুত হয়। এর মধ্যে মাত্র ৩৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তিও সুযোগ পায়। বাকি অংশটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তি হয়। সেক্ষেত্রে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সাধারণত উচ্চহারে ফি গ্রহণ করা হয়ে থাকে। এখন প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে সেটি শিক্ষার্থীদের এবং তাদের অভিভাবকদের জন্য দুশ্চিন্তা ডেকে আনবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিগত ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনে দেশ যখন আশাতীতভাবে এগুচ্ছিল, তখন বিএনপি-জামায়াতের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপে থমকে দাঁড়িয়েছিল অর্থনীতি। কিন্তু সংগ্রামের ভেতর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে বাজেট বাস্তবায়ন করেছে। এরপর থেকে অদ্যাবধি প্রবৃদ্ধির প্রগতি থেমে থাকেনি। আগামীতেও প্রবৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকবে।