শীর্ষবিন্দু নিউজ: সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান সরাসরি অস্বীকার করে বলেছেন, ‘ডালিয়া নামের কোন মহিলাকে আমি চিনি না। সে আমার স্ত্রীও নয়। জনগণকে বিভ্রান্ত করা ও আমার জনপ্রিয়তা ক্ষুর্ণ করার জন্য এ ধরেনের মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার চালাচ্ছে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
মেয়র কামরানের স্ত্রী বলে দাবি করা ঢাকায় বসবাসরত এই ডলিয়াকে নিয়ে শুধু সিলেট নয়, সারাদেশে তিন দিন ধরে আলোচনার ঝড় তুলেছে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে। অনেকে এটাকে কামরানের নির্বাচনে ভরাডুবি হিসেবে দেখছেন। আবার কেউ কেউ বলছেন চট্রগামের সাবেক নগর পিতা মহিউদ্দিন এর চেয়েও কঠিন বিপদের সম্মুখিন হচ্ছেন সিলেটের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী সাবেক এ মেয়র।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডালিয়া যদি সত্যিকার স্ত্রী হন। হলফনামায় ব্যক্তিগত তথ্যে কামরান ডালিয়ার নাম উল্লেখ না করায় নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তাকে বিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হতে পারে। কামরান বলেন, এই মহিলাকে বিয়ের কাবিন দিয়ে তাকে প্রমাণ করতে হবে যদি সে আমার স্ত্রী হয়।” তিনি বলেন, জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। নগরবাসীর সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে একটি মহল আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য নানা কল্পকাহিনী রচনা করছেন। কিন্তু এসব অপপ্রচার চালিয়ে নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করা যাবে না।” কামরানের স্ত্রী দাবিদার ডালিয়া ঢাকার ওয়ারীর ৮ ব্যাংকিং রোডের ফরচুন টাওয়ারের সাউথ ভবনের ১১ তলায় ৬-বি ফ্যাটে নিজের মেয়েকে নিয়ে থাকেন। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৮ দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র পদপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “আমি লোক মুখে শুনেছি , ঢাকায় গেলে একই ফ্লাটে ডালিয়ার সাথে অবস্থান করতেন তিনি। এর চেয়ে আমি বেশি কিছু বলতে পারব না।” এ ব্যাপারে ডালিয়ার সাথে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। জানা গেছে সংবাদ প্রকাশের পর ডলিয়াকে ফ্লাট থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বাসায় গেলে বাসার এক নিরাপত্তাকর্মী জানান, তিনি বাসায় নেই। কোথায় গেছেন তা-ও জানেন না। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে ডালিয়ার গাড়ি দুর্ঘটনায় পতিত হলে ডালিয়া পরিস্থিতি মোকাবেলায় কর্তব্যরত এসআই জাকিরের সামনে নিজেকে মেয়র কামরানের স্ত্রী দাবি করেন। এরপর মেয়র কামরানের দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় তুলেছে।
তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ১৪ দল মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। রোববার এ অভিযোগ দাখিল করেন-১৮ দল মনোনীত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট আবুল কাহের শামীম। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মেয়র প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছেন। তাদের নামে ঢাকার ওয়ারি এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে। নির্বাচন কমিশনে দায়ের করা হলফনামায় কামরান দ্বিতীয় স্ত্রী এবং উল্লিখিত ফ্ল্যাটের বিষয়ে কোন তথ্য উল্লেখ করেননি।
সম্প্রতি কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে ডালিয়া সুলতানা হেপী নামের কামরানের অন্য একজন স্ত্রী রয়েছেন বলে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। কামরান প্রথম স্ত্রী আসমা কামরানকে নিয়ে নগরীর ছড়ারপারে বসবাস করেন। এছাড়া, মেয়র প্রার্থী কামরান নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুজন গানম্যান ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আবুল কাহের শামীম। এ ব্যাপারে তিনি এসএমপি কমিশনারের কাছেও একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
Leave a Reply