বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৭:২০

রাজনীতি ছাড়লেন শমসের মবিন: আরও অনেকেই বিএনপি ছাড়বে বললেন মাহবুব হানিফ

রাজনীতি ছাড়লেন শমসের মবিন: আরও অনেকেই বিএনপি ছাড়বে বললেন মাহবুব হানিফ

শীর্ষবিন্দু নিউজ : রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিলেন বীর বিক্রম খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী। একই সাথে তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যানসহ দলের সব পদ থেকে পদত্যাগ করবেন বলে লিখিত চিঠিতে জানিয়েছেন।

তিনি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বরাবরে একটি চিঠিতে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শারিরিকভাবে রাজনীতি করার মতো অবস্থা নেই উল্লেখ করে বলেন, এই কারণেই আমি সব পদ থেকে সরে অবসরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বুধবার রাতে চিঠিটি গ্রহণ করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপির একজন ভাইস চেয়ারম্যানের রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, আরও অনেকেই ওই দল ছেড়ে বেরিয়ে আসবেন বলে তার বিশ্বাস। আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, আমি মনে করি বিএনপিতে যারা এখনো মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী আছেন, তারা একে একে এই সন্ত্রাসী নেতৃত্ব থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপিকে ঢেলে সাজাবেন। বৃহস্পতিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন হানিফ।

এর ঘণ্টাখানেক আগে বিএনপির সব পদ থেকে সরে দাঁড়িয়ে রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। সরকারবিরোধী আন্দোলন চাঙ্গা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব যখন কঠিন এক সময় পার করছে, তখনই শমসের মবিনের এই ঘোষণা এল। কখনো নির্বাচনে অংশ না নিলেও গত কয়েকবছর বিএনপির মূল ক্ষমতাকেন্দ্রের খুব কাছাকাছিই ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন।

তিনি একাত্তরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট পদে দায়িত্ব পালন করেন। মেজর পদে থাকাকালীন তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। জোট সরকারের আমলে পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বসহ ২০০৫ সালে তাকে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত পাঠানো হয়। এবং ২০০৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালনের পর তিনি অবসরে যান।

২০০৮ সালে খালো জিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্ঠা হিসেবে দায়িত্ব পেয়ে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং ২০০৯ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে তিনি দলের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। চলতি বছরের শুরুতে তিনি নাশকতার মামলায় গ্রেফতারের পর গত মে মাসে মুক্তি পেয়ে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন রাজনীতিতে।

প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ঘনিষ্টজন ছিলেন তিনি। সাইফুর রহমানের মৃত্যুর পর নিজের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিনি দলের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তগুলো এককভাবে নেওয়ার চেষ্টা করেন।

ফলে বিগত দিনে কমিটি গঠন নিয়ে সিলেট বিএনপির রাজনীতিতে তার ভূমিকায় দলের নেতাকর্মীদের চরম রোষানলে পড়েন। দলের প্রবীন ও বিএনপির একনিষ্ট কর্মীদের বাদ দিয়ে একক সিদ্ধান্তে কমিটি গঠন নিয়ে তার বিরুদ্ধে দলের একটা অংশ ঝাড়– মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। একারণে তিনি দল থেকে চাপের মুখে ছিলেন বলে জানিয়েছে দলের একাধিক সূত্র।




Comments are closed.



পুরানো সংবাদ সংগ্রহ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
All rights reserved © shirshobindu.com 2012-2025