শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: কোন ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই একসঙ্গে ছয় সন্তান প্রসব করেছেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির এক গৃহবধূ। গতকাল শনিবার সকালে নগরের জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালে চার মেয়ে ও দুই ছেলেসন্তানের জন্ম দেন তিনি। প্রথমে দুটি মৃত সন্তান প্রসব করেন। এরপর একে একে আরও চারটি সন্তান প্রসব করেন তিনি। এর মধ্যে বেঁচে আছে শুধু দুই নবজাতক, সুস্থ রয়েছেন গৃহবধূ।
চিকিৎসকেরা বলেন, গর্ভধারণের ছয় মাসের মাথায় সন্তান প্রসব করেন ওই নারী (২৫)। এর মধ্যে দুটি ছেলে ও চারটি মেয়ে। নবজাতকদের ওজন ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের মধ্যে। গর্ভধারণের পর চিকিৎসকের পরামর্শ না নেওয়া এবং নির্ধারিত সময়ের আগে সন্তান প্রসব করায় বেঁচে থাকা একটি ছেলে ও মেয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রোজি বিশ্বাস বলেন, গর্ভধারণের পর ওই নারী শুধু একবার চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁকে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বলা হলেও তিনি তা করেননি। যথাযথ চিকিৎসা নিলে হয়তো এ অবস্থা হতো না। প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হওয়ার পর গতকাল সকাল সোয়া ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে স্বাভাবিকভাবে একে একে ছয়টি সন্তান প্রসব করেন। প্রথমে একটি মৃত ছেলে ও একটি মেয়ে প্রসব করেন।
গৃহবধূর স্বামী মো. ইয়াকুব আবুধাবিপ্রবাসী। বাড়ি ফটিকছড়ির সমিতির হাটের ছাদেকনগর এলাকায়। পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। এই দম্পতির তিন বছর বয়সী একটি মেয়ে রয়েছে। হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ বেলাল উদ্দিন বলেন, নবজাতকগুলো পরিপূর্ণভাবে বেড়ে ওঠেনি। বেঁচে থাকা দুজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশুস্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক প্রণব কুমার চৌধুরী বলেন, নবজাতকের ওজন ৭৫০ গ্রামের কম হলে শরীরে নানা সমস্যা থাকে। দুই নবজাতকের চিকিৎসা চলছে। তাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে কি না, তা দুই সপ্তাহ পর বলা যাবে।
গৃহবধূর শ্বশুর সাহাব মিয়া বলেন, ‘আমরা আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাইনি। একটি মেয়ে ও একটি ছেলে বেঁচে আছে।’