শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: বৃটেনের লেবার দলের এমপি সিমন ড্যানচুকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হুমকিতে পড়েছে। অপ্রাপ্তবয়স্ক এক তরুণীর (১৭) সঙ্গে তার যৌন-উত্তেজক মুঠোফোন বার্তা আদান-প্রদান ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর, তাকে দল থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এবার তার প্রথম স্ত্রী নতুন অভিযোগ এনেছেন।

সোনিয়া রসিংটন (৩৯) নামে সিমনের প্রথম স্ত্রী জানান, বিয়ের সময় তিনি অসুস্থ থাকলেও সিমন যৌনমিলন করতে চাইতেন। এমনকি প্রয়োজনে মাদক ও মদ্যসেবনও করাতেন। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। খবরে বলা হয়েছে, শিশুদের প্রতি যৌন নিগ্রহের বিরুদ্ধে প্রচারণাকারী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতেন ড্যানচুক (৪৯)।

কিন্তু অপ্রাপ্তনবয়স্ক এক মেয়ের সঙ্গে যৌন-উত্তেজক বার্তা আদান-প্রদানের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর লেবার পার্টি থেকে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। নতুন এক সাক্ষাৎকারে সোনিয়া রোসিংটন দাবি করেছেন, সিমন ছিলেন যৌন শিকারি।

তার দাবি, নিজেদের প্রায় এক দশক দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনে সিমনের যেসব ব্যবহার তাকে সহ্য করতে হয়েছে, তার মধ্যে যৌন-উত্তেজক বার্তা আদান-প্রদানও অন্যতম। সোনিয়ার দাবি, সিমন ড্যানচুক অনবরত যৌন মিলন করতে চাইতেন। এছাড়া ড্যানচুক তাকে যৌনমিলনের সময় নিতম্বে আঘাত, বেত্রাঘাত ও মর্ষকামে আগ্রহী করাতে চাইতেন। প্রতিদিনই সিমন প্রচুর মদ্যপান করতো। নিত্য মাদকসেবী সিমন যখনই বাসায় ফিরতেন, তখনই গাঁজা প্রস্তুত রাখতে বলতেন। যৌনমিলনকে আরও উত্তেজনাকর করতে পর্নোগ্রাফিও ব্যবহার করতেন তিনি।

সোনিয়ার আরও দাবি, সবার সামনে তাকে সবসময়ই ভয় বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেন সিমন। এছাড়া এতটাই ‘কিপ্টে’ ছিল যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজের সন্তানের থাকার খরচের কিছু অংশ দিতে রাজি হয়নি। তবে নিজেদের দাম্পত্য জীবন নিয়ে গণমাধ্যমকে এভাবে খোলামেলা কথা বলায় সোনিয়াকে টুইটারে ধুয়ে দিয়েছেন সিমনের দ্বিতীয় ও সর্বশেষ স্ত্রী ড্যারেন ড্যানচুক। ড্যারেনের সঙ্গে কয়েকমাস আগে বিচ্ছেদ হয় সিমনের।

ড্যারেন টুইটারে নিজের খোলামেলা বুকের সেলফি দেওয়ায় অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আলোচিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। সিমনের সর্বশেষ কেলেঙ্কারিতে প্রথম স্ত্রী সোনিয়ার ঘি ঢালাকে এরপরও পছন্দ করেননি ড্যারেন। তার দাবি, সোনিয়া ‘টাকা পাগল ঝোঁক’। এ জন্যই গণমাধ্যমে নিজেদের যৌনমিলনের কাহিনী ফাঁস করেছেন।

রোচডালের এমপির ওপর এখন রাজনৈতিক চাপ আরও বাড়তে পারে। লেবার দল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে বাদ পড়তে পারেন।