শীর্ষবিন্দু নিউজ ডেস্ক: গত দুই দশকের ভেতরে লন্ডন শহরে এসেছেন এমন বিদেশীদের সংখ্যা প্রায় ২ মিলিয়নের বেশি। এ নিয়ে লন্ডনের জনসংখ্যা ৮ দশমিক ৬ মিলিয়নে পৌঁছেছে।
লন্ডনের সর্বমোট জনসংখ্যার মধ্যে ২শ ৬৭ হাজার নাগরিকের জন্ম ভারতে। ১শ ৩৫ হাজার পোলান্ড, ১শ ১৩ হাজার পাকিস্তান, ১শ ২৬ হাজার বাংলাদেশ এবং ১শ ১২ হাজার নাগরিকের জন্ম আয়ারল্যান্ডে। অন্যদিকে নাইরেজিয়ায় জন্ম ৯৯ হাজার, শ্রিলঙ্কায় ৮৬ হাজার, জামাইকায় ৭৫ হাজার, ইউনাইটে স্টেইটে ৭১ হাজার এবং কেনিয়ায় জন্ম ৬৩ হাজার নাগরিকের।
আর সর্বমোট জনসংখ্যার প্রতি ৩ জনের মধ্যে ১ জন বিদেশে জন্মগ্রহণকারী। এছাড়া লন্ডনের এমন কিছু এলাকা আছে যেখানে সর্বমোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই বিদেশে জন্মগ্রহণকারী নাগরিক রয়েছেন। আর বিদেশী নাগরিকদের মধ্যে ভারত, নাইজেরিয়া, পোলান্ড এবং বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী নাগরিকের সংখ্যা বেশি। ২০১৩১ সালের ভেতরে লন্ডনে ইমিগ্র্যান্ট জনসংখ্যা প্রায় ৫ মিলিয়নে গিয়ে দাঁড়াবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রায় ৩ মিলিয়ন নন ব্রিটিশ নাগরিকের মধ্যে ৪০ শতাংশ ইউরোপের, ৩০ শতাংশ মিডল ইস্ট এবং এশিয়ার, ২০ শতাংশ আফ্রিকা ও ১০ শতাংশ আমেরিকা অথবা ক্যারিবিয়ান বলে লন্ডন মেয়র অফিসের এক তথ্যে ওঠে এসেছে। গ্রেটার লন্ডনের ৩৩ টি বারার মধ্যে প্রায় ১০টি বারাতে ভারতে জন্মগ্রহণকারী বৃটিশ নাগরিকের সংখ্যার আধিপত্য রয়েছে।
এছাড়া টাওয়ার হ্যামলেটস, হেকনি ও নিউহ্যামে নাইজেরিয়া, পোলান্ড, তুরস্ত এবং বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী জনসংখ্যা বেশি। অন্যদিকে ওয়েস্টমিনষ্টার, কেনসিংটন এন্ড চেলসি এবং ব্রেন্টের অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা বিদেশে জন্মগ্রহণকারী নাগরিক।
লন্ডন মেয়র অফিসের তথ্য অনুযায়ী, লন্ডনের ৩২টি বারার মধ্যে সিটি অব ওয়েস্টমিনষ্টারের সর্বমোট জনসংখ্যার ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ ইরাকি। কেনসিংটন এন্ড চেলসির ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং হ্যামারস্মিথ এন্ড ফুলহ্যামের ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ ফরাসি, ওয়ান্ডসওয়ার্থের ২৮ দশমিক ২ শতাংশ সাউথ আফ্রিকান, ল্যাম্বাথের ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ জামাইক্যান, সাউথার্কের ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ নাইজেরিয়ান।
লিটল বাংলাদেশ বলে খ্যাত টাওয়ার হ্যামলেটসের ৪২ দশমিক ৫ শতাংশ বাংলাদেশী, হেকনির ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ তুর্কি, ইসলিংটনের ৩২ শতাংশ আইরিশ, ক্যামডেনের ৪৪ দশমিক ২ শতাংশ বাংলাদেশী, ব্র্যান্টের ৫৩ দশমিক ৩ শতাংশ, ইলিংয়ের ৪৬ দশমিক ৯ শতাংশ এবং হ্যান্সলোর ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ ভারতের।
এছাড়াও বার্কিং এন্ড ডেগেনহ্যামের ৪২ দশমিক ৫শতাংশ বাংলাদেশী, রেডব্রিজের ৩৮ দশমিক ৮ শতাংশ তুর্কি, নিউহ্যামের ৩২ শতাংশ আইরিশ, ওয়ালথাম ফরেস্টের ৩৯ দশমিক ৭শতাংশ পাকিস্তানি, হ্যারিঙ্গের ৩৬ দশমিক ৩শতাংশ এবং এনফিল্ডের ৩২ দশমিক ৩ শতাংশ তুর্কি। এদিকে বারনেনের ৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ, হ্যারোর ৫০ দশমিক ২ শতাংশ এবং হিলিংডনের ৩০ দশমিক ৪শতাংশ ভারতীয় অরিজিন নাগরিক।
অন্যদিকে রিচমন্ড আপন থেমসের ২২ দশমিক ৮ শতাংশ জার্মানির, কিংসটন আপন থেমসের ২৮ দশমিক ৭ শতাংশ এবং ম্যারটনের ৩৮ দশমিক ৯ শতাংশ পোলিশ, সাটনের ২১ দশমিক ২ শতাংশ ফিলিপিন্স, ক্রয়ডনের ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ এবং ব্রোমলির ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ ভারতী, লুইশিয়ামের ৩০ দশমিক ৭ শতাংশ জামাইকান, গ্রিনিচের ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ, বেক্সলির ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ এবং হ্যাভারিংয়ের ৩৬ দশমিক ৫ শতাংশ নাইজেরিয়ান।