বিস্ময়কর ডেস্ক: অবশেষে মহাশূন্যেও ফুটলো ফুল। নাসার মহাকাশচারী স্কট কেলি গতকাল এক টুইটের মাধ্যমে মহাশূন্যে প্রথমবারের মতো এই ফুলের কথা জানিয়েছেন। সঙ্গে দিয়েছেন এর ছবি।
টুইটে কেলি লিখেছেন, হ্যাঁ, মহাশূন্যেও দেখা মিললো অন্য প্রাণের। কমলা রঙের এই ফুলের নাম জিনিয়া। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মহাশূন্যের ওজনহীন পরিবেশে কীভাবে কোনো গাছ বেড়ে উঠতে পারে, তার পরীক্ষা করতে গিয়েই ফুটেছে এই ফুল। এর জন্য মহাশূন্যে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের (আইএসএস) বাইরে ২০১৪ সালের মে মাসে স্থাপন করা হয় ভেজি ল্যাব (সবজি গবেষণাগার)। এই ল্যাবের অভ্যন্তরেই জিনিয়া ফুলের গাছ বেড়ে ওঠে মহাকাশচারীদের পরিচর্যায়। ফুলও ধরে তাতে।
এর ফলে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের বাইরে এই প্রথম কোনো ফুলগাছ বেড়ে ওঠার ঘটনা ঘটলো। এ প্রসঙ্গে ফ্লোরিডায় অবস্থিত নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টারের ভেজি প্রজেক্ট ম্যানেজার ট্রেন্ট স্মিথ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, ভেজি ল্যাবের এই সাফল্য আমাদের জ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এর অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে মহাশূন্যের বাগানে হয়তো টমেটো বা এ ধরনের ফলও ফলানো সম্ভব হবে।
নাসা জানিয়েছে, মহাশূন্যের জিনিয়া ফুলগাছ পৃথিবীর জিনিয়া ফুলগাছের মতোই বেড়ে উঠেছে। তবে সম্ভবত শূন্য-মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণেই এই গাছের পাতাগুলো পরিধির দিকে একটু কুঁচকে গেছে।
ট্রেন্ট স্মিথের বক্তব্যের মতো নাসাও মনে করছে, ভবিষ্যতে মহাশূন্যে অন্যান্য ফলের চাষও হতে পারে। আর তা করতে পারলে তা হবে বড় একটি অর্জন। জিনিয়া ফুলগাছের আগে অবশ্য মহাকাশচারীরা ভেজি ল্যাবে লেটুস পাতার চাষও করেছেন। প্রথম উদ্যোগে লেটুস পাতার গাছ বেড়ে না উঠলেও পরে তা সফলভাবেই বেড়ে উঠেছে।
উল্লেখ্য, আইএসএসের ভেজি ল্যাবে গাছের বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে লাল, নীল ও সবুজ রঙের এলইডি লাইটের সমন্বয়ে সূর্যালোকের আবহ তৈরি করা হয়। আর তার ফলেই মহাশূন্যের পরিবেশেও বেড়ে উঠতে পারছে গাছগাছালি।