শীর্ষবিন্দু নিউজ: মহাজোটে টানাপড়েনের মধ্যে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার বিকালে সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংসদ কার্যালয়ে যান সংসদ সদস্য এরশাদ। সেখানে দুজনে ৪০ মিনিট আলোচনা করেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেসসচিব আসিফ কবীর। সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর জাতীয় পার্টির অবস্থান নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনার মধ্যে এই বৈঠক হলো।
এরশাদের সাম্প্রতিক সিঙ্গাপুর অবস্থানের সময় ওই দেশটিতে গিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিরোধীদলীয় নেতার ওই সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ষড়যন্ত্র করতেই ওই সফরে যান খালেদা জিয়া। এরশাদ সিঙ্গাপুর থেকে ফেরার পর তার সঙ্গে দেখা করতে যান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক।
এরপর ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ এবং জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এরশাদের বাড়িতে যান। ওই সব বৈঠকের পরই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়বস্তু জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। অনেকদিন দেখা হয় না, কথা হয় না। দেখা করলাম কথা বললাম। মহাজোট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি এখনো মহাজোটে রয়েছে।
গাজীপুরের সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থীকে জাতীয় পার্টি সমর্থন দেবে কি না- প্রশ্ন করা হলে স্পষ্ট করে কিছু না বলে তিনি জানান, আমরা তো এখনো মহাজোটেই আছি। গাজীপুরে তো স্থানীয় নির্বাচন এত আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কী আছে।
মহাজোটে গিয়ে ‘কিছুই পাইনি’ অনুযোগ করে আগামী নির্বাচন এককভাবে করার ঘোষণাও দিয়েছেন এরশাদ। এ কথার প্রক্ষিতে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করছিলেন আগামী নির্বাচনে মহাজোটগতভাবেই অংশ নেবেন কি না- এ প্রশ্নের জবাবেও এরশাদ বলেন, আমরা এখনো তো মহাজোটেই আছি। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য টি আই এম ফজলে রাব্বি বুধবার সংসদে বলেন, “মহাজোটে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ জোটের শরিক জাতীয় পার্টিকে অবমূল্যায়ন করা হচ্ছে।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দু‘নেত্রী এরশাদকে কাছে টানছেন নিজেদের বোটের পাল্লা ভারী করতে। কারণ এটা স্পষ্টতই সত্য এরশাদ যদি একা নির্বাচন করেন সংখ্যাগরিষ্টতার দিক থেকে তেমন আসন পাবেন না। তাহলে সরকারও গঠন করতে পারবেন না। জোটগতভাবে থাকলে জাতীয় পার্টি অবশ্যই সরকার দলে থাকবে। এতে যে দলই জয়ী হোক। হয়তো এরই প্রেক্ষিতে খালেদা জিয়া বৈঠক করলেন সিঙ্গাপুরে আর শেখ হাসিনা বৈঠক করলেন দেশে।
Leave a Reply