শীর্ষবিন্দু আন্তর্জাতিক নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের দায়ে ৯৩ বছর বয়স্ক রাইনহোল্ড হানিং এর বিচার গত বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে। ঘটনার ৭১ বছর পর এই বিচার শুরু হলো। আগামী ২০ মে পর্যন্ত আদালতে এই যুদ্ধাপরাধী রাইনহোল্ড হানিং বিচার প্রক্রিয়া সমাপ্ত হবে।
দুই বছর আগে জার্মানির বাডেনভূর্টেনবূর্গ রাজ্যের লুডভিগবূর্গ শহরে অবস্হিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মহাফেজখানায় পাওয়া একটি দলিলের সুত্র ধরে পোলান্ডের অশউইৎজ বন্দী শিবিরে কর্মরত এস এস বাহিনীর প্রহরী ও কর্মচারীদের মধ্য যে ত্রিশ জন জীবিত যুদ্ধাপরাধীর নাম পরিচয় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল হানিং তাদের অন্যতম।
বিচার প্রক্রিয়াই সহযোগী স্বাক্ষী হিসাবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে অশউইৎজ বন্দী শিবিরে আটককৃত কিছু সাবেক বন্দী যুক্তরাষ্ট, যুক্তরাজ্য, ক্যানাডা ও ইসরাইল থেকে রাইনল্যান্ড ফালৎস প্রদেশের ছোট শহর ডেটমল্ডে প্রাদেশিক আদালতে হাজির হয়েছেন।
আদালতের অভিযোগনামায় ডর্টমুন্ড শহরের রাষ্টীয় কৌশলী আন্দ্রিয়াস ব্রেন্ডেল জানিয়েছেন, অনেক দেরীতে হলেও আমরা এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অশউইৎজ বন্দী শিবিরে একশত সত্তর হাজার বন্দীকে হত্যার ঘটনায়, সেখানে কর্মরত প্রহরী রাইনহোল্ড হানিং কতটুকু অবগত ছিল তা জানতে চাই। উল্লেখ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন নাৎসী হিটলার বাহিনী তাদের দখলকৃত বিভিন্ন দেশ থেকে ইহুদী সম্প্রদায়ের মানুষদের বন্দী করে পোলান্ডের অশউইৎজ এবং ব্রির্কেনাউ বন্দী শিবিরে নিয়ে এসেছিলেন।
অশউইৎজ এবং ব্রির্কেনাউ বন্দী শিবিরে এস এস বাহিনীর সর্বমোট ছয় হাজার পাঁচশত প্রহরী কাজ করলেও এদের মধ্য মাত্র ৫০ জনকে জার্মানির বিভিন্ন আদালতে বিচারের আওতায় আনা গেছে।
বিশেষ গুরুত্বের কথা ও স্হান সংকুলানের কথা বিবেচনা করে ডেটমল্ড শহরের প্রাদেশিক আদালত ভবনে না করে একটি বড় হলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নানা আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সহ, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আসা স্বাক্ষী ও তাদের ১৪ জন আইনজীবি এই যুদ্ধাপরাধীর বিচারের কারনে ছোট শহর ডেটমল্ড হাজির হয়েছেন।